fbpx

‘ট্রেলার দেখে সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যায়েন না’

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ঢাকার হলি আর্টিজেনে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে নির্মিত সিনেমা ‘শনিবার বিকেল’ নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। সেন্সরবোর্ডে আটকে আছে সিনেমাটি। তাই বাংলাদেশে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে দেশের বাইরে সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে। ১০ মার্চ সিনেমাটি মুক্তি পাবে আমেরিকা ও কানাডায়।

গতকাল(২১ ফেব্রুয়ারি) সিনেমার ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে। ট্রেলারটি বেশ সাড়া ফেলেছে। এমনিতেই ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমাটি নিয়ে দর্শকের আগ্রহ তুঙ্গে। তার উপর ট্রেলার দেখে সিনেমা দেখার আগ্রহ বহুগুণ বেড়ে গেছে সিনেমাপ্রেমীদের।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী একটি পোস্ট দিয়েছেন সেটা পড়ে আপনার সিনেমাটি দেখার আগ্রহ বেড়ে যাবে নিশ্চিত। কারণ ফারুকীর পোস্ট অনুসারে ট্রেলারে সিনেমার প্রয়োজনেই অনেক গা হিম করা দৃশ্য ব্যবহার করা হয়নি।

পোস্টে ফারুকী লিখেছেন, ‘শুভ সকাল। শনিবার বিকেলের ট্রেলারটা কালকে রাতে বের হওয়ার পর থেকে একটা অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করতেছে। মনে হচ্ছে কালো যাদুর বাক্সে আটকে থাকা প্রিয় কবুতর যেনো বহুদিন পর আকাশ দেখলো।

যারা যারা ট্রেলার শেয়ার দিতেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমার মেয়ে কোকোমেলেন দেখে খাওয়ার সময়। ওখানে প্রায়ই গায় “শেয়ারিং ইজ কেয়ারিং”! সো, শেয়ার চলতে থাকুক।

একজন একটা চিঠি লিখছেন, ভাইয়া, জাহিদ হাসান আর তিশা আপার স্টিল দেখে আমরা ভুল ভেবে আপনার বিরুদ্ধে লিখছিলাম। ট্রেলার দেখে পরিষ্কার হলাম। উনার উদ্দেশ্যে একটা কথা বলতে চাই, যেটা উনার উসিলায় অনেকের জন্যই প্রযোজ্য হবে। ভাই, একটা স্টিল দেখে বা ট্রেলার দেখে সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যাইয়েন না। আপনি যদি একটা স্টিল দেখে বা ট্রেলার দেখে সব বুঝে ফেলতে পারেন, তাইলে আমার কষ্ট করে দেড় ঘণ্টার ফিল্ম বানানোর দরকারটা কি? তাই না? আমি তো তাইলে শুধু ট্রেলারই বানাইতাম।‘

তিনি লিখেছেন, ‘শনিবার বিকেলের ট্রেলার বানাইতে গিয়া সবচেয়ে বড় যে চ্যালেন্জে পড়ছিলাম, সেটা হচ্ছে সিনেমার অনেক গা হিম করা মুহুর্ত আছে বা ড্রামাটিক কনফ্লিক্ট আছে বা ভাববার জায়গা আছে যেগুলোর কোনোটাই ট্রেলারে ব্যবহার করা যাচ্ছিলো না গল্পের গোপন জায়গা উন্মুক্ত হয়ে যাওয়ার ভয়ে, অথবা গল্প সম্পর্কে একটা ভুল এবং একতরফা ধারনা হয়ে যাওয়ার ভয়ে। ফলে আমি বলবো, ছবিটা দেখতে থিয়েটারে আসলেই সত্যিকার ‘পরিষ্কার’ হতে পারবেন।‘

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমেরিকা এবং কানাডায় যেসব বাংলাভাষী আছেন, ক্যালেন্ডারে মার্চের ১০ তারিখ মার্ক করে রাখবেন প্লিজ! মার্চ বাংলাদেশের মানুষের জন্য বিশেষ মাস। আর এই ছবিটা কেবল যে একটা ইমোশনাল ছবি তাতো নয়। ইমোশনাল ছবিতো বটেই, আমাদের রাজনৈতিক পরিচয় আর কনফ্লিক্টের জন্যও হয়তো বিশেষ একটা ছবি হতে পারে।‘

Advertisement
Share.

Leave A Reply