দেশে সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের বাজার চরম অস্থিতিশীল। তবে চলতি মাসেই দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১১৭ কোটি ডলার। এর ফলে কমছে এলসি খোলার হার। যার প্রভাবে কমতে শুরু করেছে ডলারের দাম। গতকাল (বুধবার) ব্যাংকগুলো আমদানিতে প্রতি ডলারের বিপরীতে ১০৮ টাকা পর্যন্ত দর নিয়েছে। আর খোলাবাজারে দর নেমেছে ১১০ টাকায়।
১৭ আগস্ট (বুধবার) রপ্তানিকারক ও রেমিটারদের কাছ থেকে কিনেছে ১০৪ থেকে ১০৫ টাকা দরে। এর আগে আমদানি ডলারের সর্বোচ্চ দর ওঠে ১১২ টাকা। আর খোলাবাজারে বিক্রি হয় ১১৯ টাকা পর্যন্ত।
এদিকে ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে ব্যাংকের পর গতকাল মানিচেঞ্জারগুলোর প্রতি ডলারে সর্বোচ্চ দেড় টাকা মুনাফার সীমা ঠিক করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে গত রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকের সংগঠন বাফেদা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয় ডলার বেচাকেনার মধ্যে সর্বোচ্চ এক টাকা পার্থক্য থাকবে।
এই সিদ্ধান্ত কার্যকরের আগে ব্যাংকগুলো নিজেরা বসে সব ব্যাংকে একটি চিঠি দেওয়ার কথা। আর ব্যাংকের সেই দর কার্যকর হচ্ছে কি-না, তা তদারক করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেখানে কোনো হেরফের পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল মানিচেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক বৈঠক হয়। বৈঠকে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয়, ব্যাংকের তুলনায় মানিচেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলো এক টাকা বেশি দরে ডলার কিনতে পারবে। যে দরে ডলার কিনবে, বিক্রি করবে তার চেয়ে সর্বোচ্চ দেড় টাকা বেশি দরে। তবে ব্যাংকের চেয়ে এক টাকা বেশি দরে কেনার বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। কেননা একেক ব্যাংক একেক রকম দরে ডলার বেচাকেনা করে।