ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৯১ টাকা ৫০ পয়সা, যা আগে ছিল ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা। সে হিসেবে ডলারের বিপরীতে টাকার দাম কমলো ১ টাকা ৬০ পয়সা।
সোমবার (৬ জুন) কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার প্রতি ডলারের মূল্য ৯০ পয়সা বাড়ানো হয়, এর আগে বাড়ানো হয়েছিল ১ টাকা ১০ পয়সা।
সোমবার থেকেই বাংলাদেশ ব্যাংক ৯১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করবে। সরকারি আমদানি বিল মেটাতে ব্যাংকগুলোর কাছে এ ডলার বিক্রি করা হয়। ফলে এটাই ডলারের আনুষ্ঠানিক দর।
তবে ব্যাংকগুলো আমদানিকারকদের কাছে প্রতি ডলারের জন্য ৯৫ টাকার বেশি দাম নিচ্ছে। আর প্রবাসী আয় আনছে ৯৩ থেকে ৯৪ টাকা দরে।
গেল বৃহস্পতিবার ডলারের দামের সীমা তুলে নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হয়, বাজারের সঙ্গে সংগতি রেখে ব্যাংকগুলো নিজেরাই ডলারের দাম নির্ধারণ করতে পারবে। এর পর থেকে দুই দফা দাম বাড়ানো হয়েছে।
টাকার মান যত কমবে, আমদানি ব্যয় তত বাড়বে। ফলে লাভ হবে রপ্তানিকারকদের। মূলত রপ্তানিকারকদের সুবিধা দিতে স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে রপ্তানিকারকরা ডলারের বিপরীতে টাকার মান অবমূল্যায়নের দাবি জানিয়ে আসছিল।
তবে এভাবে যদি টাকার মান কমতে থাকে, এর ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়ভে আমদানি খাতে। এরই মধ্যে আমদানি পণ্যের দাম ও জাহাজভাড়া বেড়ে যাওয়ায় আমদানি ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৪৪ শতাংশ। রপ্তানি ও প্রবাসী আয় দিয়ে সে খরচ মেটানো যাচ্ছে না। ফলে বাজারে ডলার সংকট দেখা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।