fbpx

ডায়রিয়া ভোগা শিশুদের ৮০ শতাংশ রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

রাজধানীর শিশু হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেলো ডায়রিয়াজনিত কারণে ভর্তি হওয়া ৮০ শতাংশ শিশুই রোটা ভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রথমে বমি ও পরে পাতলা পায়খানা হলেই বুঝতে হবে আপনার সন্তান রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত।

শিশু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোটা ভাইরাস জনিত জ্বর, বমি বা পাতলা পায়খানা সারাবছর হলেও শীতের সময় এর প্রকোপ বাড়ে। এবছর শীতের শুরু থেকেই হাসপাতালে রোটা ভাইরাসের আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। শীতকালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ শিশুই রোটা ভাইরাস সংক্রমণে অসুস্থ।

ঢাকা শিশু হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. প্রবীর কুমার সরকার বিবিএস বাংলাকে বলেন, ‘বমি, ঘনঘন পাতলা পায়খানা ছাড়াও রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে জ্বর হতে পারে। সাধারণত পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। তবে ৬ মাস থেকে ২ বছর বয়সী শিশুরা থাকে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের ঝুঁকিতে।’

এর চিকিৎসা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুদের বাড়িতেই চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। সাধারণ ডায়রিয়ার মতোই প্রতিবার পায়খানা হবার কারণে শিশুকে পানি বা পানি জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে। ডায়রিয়া হলে যেহেতু, শরীর থেকে খনিজ, মিনারেল ও পানি বের হয়ে যায়, তাই ওই পরিমাণ পানি মুখে খাওয়ানোর মাধ্যমে পানিশূন্যতা পূরণ করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, কোনভাবেই যেনো শিশুর দেহে পানিশূন্যতা তৈরি না হয়। প্রতিবার পায়খানার পর মায়ের বুকের দুধ, স্যালাইন, স্বাভাবিক খাবারের সাথে বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়াতে হবে।’

পানিশূন্যতা হলে বুঝবো কেমন করে? এমন প্রশ্ন করেন অনেকে। এ প্রসঙ্গে ডা. প্রবীর কুমার বলেন, ‘পাতলা পায়খানা অনুযায়ী ওই পরিমাণ পানি খাওয়ানো না গেলে শিশু ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতায় পড়ে যাবে। চোখ ডেবে যাওয়া, প্রস্রাব না হওয়া, নড়াচড়া কমে যাওয়া ইত্যাদি পানিশূন্যতার লক্ষণ। দীর্ঘ সময় ধরে ডিহাইড্রেশন কন্টিনিউ হলে, শিশুর কিডনি জটিলতাসহ দেখা দিতে পারে নানারকম জটিলতা।’

মুখে খাওয়া দিয়ে পানিশূন্যতা পূরণ করা না গেলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। রোটা ভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, পায়খানার পর, শিশুর খাবার তৈরি ও শিশুকে খাওয়ানোর আগে সাবান দিয়ে হাত ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া, ফুটানো পানি পান করা এবং শিশুর হাত পরিষ্কার রাখতে হবে। শিশুদের এই ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রাখতে দুই বা তিন ডোজ রোটা ভাইরাস প্রতিষেধক ভ্যাকসিন দেওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।

Advertisement
Share.

Leave A Reply