ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে গণপরিবহন ও বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিকে যৌক্তিক বলে মনে করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
১০ নভেম্বর (বুধবার) দুপুরে অর্থনৈতিক বিষয় ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়ালি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আপনারা ভালো দিক দেখবেন না, তেলের দাম কি আমরা বাড়িয়েছি? আমাদের সরকার বাড়িয়ে দিয়েছে? কোনো জাহাজে যদি করোনা আক্রান্ত কাউকে পাওয়া যায় তাহলে সেই জাহাজ কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যাওয়া হয়। এই যে জাহাজ চলতে পারে না, মাসের পর মাস সাগরে আটকে আছে; সেই চার্জ শিপিং কোম্পানিকে করা হয়। চার্জগুলো সব একত্র হয়ে পুরো চার্জটা আমরা পাই।
ডিজেলের দাম বাড়া নিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা স্বীকার করি। যখন দাম কমে আমরা দাম কমাই, যখন বাড়ে বাড়াই। এখন কি পরিমাণ দাম বেড়েছে সেটা জানেন? আগামী মিটিংয়ে আমরা আপনাদের জানাবো গত দুই বছর কী পরিমাণ বেড়েছে? আমরা কতটা বাড়িয়েছি। আপনারা তাহলে বুঝতে পারবেন সরকার কতটা বহন করতে পারে। যারা ভোক্তা, কিছুটা তাদের বহন করতে হবে। আপনাদের বুঝতে হবে এখনকার দাম কত। বাকিটা সরকারকে বহন করতে হচ্ছে। বাকি অনেকটা বহন করতে হচ্ছে সরকারকে।
তিনি জানান, বিপিসি ৪৩ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে, কিন্তু জ্বালানির দাম কমেনি এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার টাকা নিয়ে কী করবে? এই যে সেফটিনেট প্রকল্পগুলো আছে, এগুলো তো সরকার টাকা প্রিন্ট করে চালাচ্ছে না। সরকারকে টাকা আয় করে চালাতে হয়। এগুলোতো শেয়ার করতে হয়। তারপরও সরকার যতোটুকু পারে শেয়ারিং করে। সামান্য যেটা না হলে নয় সেটা ভোক্তার উপর দেই।
জ্বালানির দাম বৃদ্ধির হিসাবে ১০ শতাংশ ভাড়া বাড়ার কথা থাকলেও ২৭ শতাংশ বাড়ানোর বিষয়ে সিপিডির বক্তব্য প্রসঙ্গে মুস্তফা কামাল বলেন, আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করবো। তাদের খরচ কত, চার্জ কত করেছে সেটি আলোচনা করে জানাবো।
