fbpx

ঢাকায় নামিদামি ফার্মেসিতে বিক্রি হচ্ছে ভেজাল ওষুধ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

রাজধানীর নামিদামি ফার্মেসিতে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির নামে তৈরি নকল ওষুধ বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।

ডিবি জানায়, নীলফামারীর সৈয়দপুরের বিভিন্ন কারখানায় তৈরি হচ্ছে দেশের নামিদামি ওষুধ কোম্পানির ওষুধ। এরমধ্যে সব থেকে বেশি তৈরি হচ্ছে গ্যাসের ওষুধ। এসব ওষুধ একটি চক্রের মাধ্যমে ঢাকায় আসে। পরে সেগুলো নামিদামি ফার্মেসিতে বিক্রি হয়।

আজ ১০ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি প্রধান) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মতিঝিল ডিআইটি এক্সটেনশন রোডের হোটেল হাসান ইন্টারন্যাশনালের সামনে মো. ইকবাল হোসেন ওরফে রানা নামের এক ব্যক্তিকে একটি ওষুধের কার্টনসহ আটক করা হয়। কার্টনের ভেতর কী আছে, জানতে চাইলে সে জানায় ওষুধ আছে। পরে কার্টন খুলে তার ভেতর থেকে কিছু ভেজাল ওষুধ পাওয়া যায়। এরপর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এসএ পরিবহন ইংলিশ রোড শাখা থেকে দুই কার্টন ভেজাল ওষুধ উদ্ধার করা হয়।

পরে আরও কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদের পর কুমিল্লা শহরের স্টেশন রোড থেকে গ্রেফতার রনির ভাড়া করা গোডাউন থেকে বিভিন্ন নামিদামি ওষুধ কোম্পানির ২ লাখ ৪১ হাজার ৯০০ পিস ভেজাল ওষুধ উদ্ধার করা হয়।

ডিবির প্রধান আরও জানান, নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের কারখানা মালিক আতিয়ারের কাছ থেকে বিভিন্ন পরিবহনে পার্সেলের মাধ্যমে এসব ওষুধ সংগ্রহ করে কুমিল্লা শহরের স্টেশন রোড এলাকায় গোডাউনে সংরক্ষণ করে সে। তারপর সময়-সুযোগ বুঝে রানা নিজে ও বিভিন্ন পরিবহনে পার্সেলের মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব ভেজাল ওষুধ বাজারজাত করে।

এই ভেজাল ওষুধ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকারী চক্রের অন্য সদস্যদের আইনের আওতায় আনার জন্য অভিযান চলছে। গ্রেফতার রনির বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply