রাজধানীতে হোল্ডিং ট্যাক্স, পানি, গ্যাস বিদ্যুৎসহ অন্যান্য সার্ভিসের জোনভিত্তিক দাম নির্ধারণ করতে হবে, জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। নাগরিক সেবা সহজ এবং হয়রানি ও ঝামেলামুক্ত করতে অটোমেশনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
বুধবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের হলরুমে আয়োজিত রাজস্ব বিভাগের অটোমেশন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা শহরে যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ এবং যানবাহন যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে করে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ঢাকা শহরে যানবাহনের গতি মানুষের হাঁটার গতির চেয়েও কম হবে। চলাচলের জন্য রাস্তার ব্যবস্থা না রেখে শুধু বিল্ডিং করে মানুষের আবাসনের ব্যবস্থা করলে ঢাকা শহর বসবাসের উপযোগিতা হারাবে।
মন্ত্রী বলেন, গুলশান-বনানী-বারিধারার মতো অভিজাত এলাকা এবং যাত্রাবাড়ির পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ অন্যান্য ইউটিলিটিক্যাল সার্ভিসের চার্জ যদি সমান হয় তাহলে সবাই তো অভিজাত এলাকায় থাকতে চাইবে। কেউ তো যাত্রাবাড়ী বা কম সু্যোগ-সুবিধা সম্বলিত এলাকায় থাকবে না। তাই জোনভিত্তিক সার্ভিসের মূল্য নির্ধারণ করা এখন সময়ের দাবী।
তাজুল ইসলাম বলেন, ভালো শিক্ষা স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার কথা বলে সবাই ঢাকায় থাকতে চায়। বিশ্বের সকল দেশের মানুষ সেদেশের মেইন সিটিতে থাকে না। আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা কি সারাদেশের মানুষকে ঢাকায় নিয়ে আসবো কিনা।
মন্ত্রী বলেন, অটোমেশনের মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে নাগরিক সেবা সহজিকরণের পাশাপাশি স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব। অটোমেশন ব্যবস্থাপনায়ও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তবে সেগুলোকে মোকাবিলা করতে হবে। যারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সিস্টেমে ইন্টারাপ্ট করার অপচেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে রাজস্ব আদায়ের কার্যক্রম অটোমেশন করার উদ্যোগের প্রসংশা করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, শুধু আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে করাপশন হয় না। নাগরিককে তার প্রাপ্য সেবা থেকে বঞ্চিত করাও করাপশন। তাই ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।