fbpx

ঢাবির হলে বেড়েছে খাবারের দাম, ‘সাধ্যের বাইরে’ দাবি শিক্ষার্থীদের

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলগুলোর ক্যান্টিনে খাবারের দাম বেড়েছে। এই মূল্যকে ‘সাধ্যের বাইরে’ বলে দাবি করেছেন বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে তাদের মাঝে অসন্তোষ এবং ক্ষোভও দেখা গেছে।

বিভিন্ন হলের ক্যান্টিন ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি খাবারের দাম বেড়েছে গড়ে ৫ থেকে ১০ টাকা করে। করোনার আগে যেখানে মুরগির মাংস গড়ে ৩০-৩৫ টাকায় পাওয়া যেতো, তা এখন ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যে মাছ গড়ে সর্বোচ্চ ৩০-৩৫ টাকা দাম ধরা হতো, সেগুলোর দাম এখন ৩৫-৪০ টাকা। গরুর মাংস ৪৫-৫০ টাকা থেকে বেড়ে এখন হয়েছে ৫৫-৬০ টাকা, ডিমের তরকারি ৩০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৫ টাকা, পরোটার পিস ৩ টাকা থেকে ৫ টাকা, কোনো কোনো হলে ভাজি-ভর্তা ৫ থেকে বেড়ে হয়েছে ১০ টাকা। হাঁসের মাংস ৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা, মুরগির গিলা-কলিজা ৩০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৫ টাকা। এরকম হলভেদে প্রায় সব ক্যান্টিনে প্রত্যেকটি খাবারের দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা করে। আবার কোনও কোনও হলে ভাজি-ভর্তার দাম না বাড়লেও পরিমাণে কমানো হয়েছে।

হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘হলের প্রত্যেকটা খাবারের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা করে বেড়েছে। কিন্তু মান আগের চেয়েও খারাপ হচ্ছে। ক্যান্টিন মালিক ও হল প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করা হলেও এখন পর্যন্ত তাদের কোনও পদক্ষেপ নিতে দেখিনি।’

এসময় শিক্ষার্থীরা হল ক্যান্টিনগুলোর ওপর প্রশাসনের নজর বৃদ্ধি, খাবারের দাম কমানোসহ স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করা হয়, প্রয়োজনে ভর্তুকি দেওয়ার দাবি জানান।

দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে সূর্য সেন হল ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক একে সবুজ তাজ বলেন, ‘সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খাবারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। চাল আগে যেখানে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ১০০ টাকায় কিনতাম, এখন তা ২ হাজার ৫০০ টাকা, প্রায় সব ধরনের মাছের দাম কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। মুরগি কেজি প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যে তেল ৮০ টাকায় কিনতাম তা এখন প্রায় ১৫০ টাকা, পেঁয়াজের দাম এক সপ্তাহে দ্বিগুণ হয়েছে। এর ফলে আগের দামে খাওয়ানো সম্ভব না। প্রতিকেজি ভাতে ২ থেকে আড়াই টাকা ঘাটতি থাকে।’

ক্যান্টিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো ভর্তুকি দেওয়া হয় না বলে তিনি জানান।

আরেক ক্যান্টিন পরিচালক বলেন, ‘খাবারের দাম আগের চেয়ে বাড়ার মূল কারণ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি। আর খাবারের মান আরেকটু বৃদ্ধি করা যেতো। কিন্তু কিছু লোক ফ্রি খেয়ে যায়, টাকা দেয় না। কখনও কখনও তাদের রুমেও খাবার পৌঁছে দিতে হয়।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply