fbpx

তথ্যসচিবকে বাধ্যতামূলক অবসর: অন্তর্নিহিত কারন জানেন না তথ্যমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর আগেই অবসরে পাঠানো হয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেনকে। তার বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগেই তাকে অবসরে পাঠানো হয়েছে বলে শোনা গেলেও এ বিষয়ে মকবুল হোসেন বলেছেন, জীবনে কখনো নীতি-নৈতিকতার সঙ্গে আপস করেননি তিনি।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেন মকবুল হোসেন। এসময় তার বিরুদ্ধে ওঠা সরকারবিরোধীদের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মকবুল হোসেন বলেন, বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে তিনি সরাসরি কখনো দেখেননি। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা খুঁজে বের করে তাকে প্রশ্ন করতে বলেন মকবুল হোসেন।

এদিকে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, তথ্যসচিব মকবুল হোসেনের চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর অন্তর্নিহিত কারণ তিনি জানেন না। এর যথাযথ ব্যাখ্যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দিতে পারবে, বলেন মন্ত্রী।

মন্ত্রণালয়ের নানা প্রকল্প নিয়ে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর তিনি তা মনিটর করেন।

(১৬ অক্টোবর) রবিবার তথ্যসচিব মো. মকবুল হোসেনকে জনস্বার্থে চাকরি থেকে অবসরে পাঠায় সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানায়। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেনকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ধারা ৪৫ অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসরে পাঠানো হলো। ২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবর অবসরে যাওয়ার কথা ছিল মো. মকবুল হোসেনের।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরি আইনের ৪৫ নং ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পর যে কোনো সময় সরকার, জনস্বার্থে, প্রয়োজনীয় মনে করলে কোনো কারণ না দর্শিয়ে তাকে চাকরি থেকে অবসরে পাঠাতে পারবে। তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিতে হবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply