fbpx

তর তর করে বেড়ে চলেছে পেঁয়াজ-কাঁচামরিচের দাম

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

রাজধানীর  কাঁচাবাজারে তর তর করে বেড়েই চলেছে পেঁয়াজ-কাঁচামরিচের দাম। ফলে মানুষ এখন কাঁচামরিচের ঝাল আর পেঁয়াজের ঝাঁঝ দুটোই বুঝতে পারছে। ১৫ দিন আগেও ঢাকার বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের খুচরা মূল্য ছিল সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। একইভাবে কাঁচামরিচের দাম কেজিতে ৭০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। এই তালিকায় আরও যোগ দিয়েছে মুরগি, ডিম আর চিনি। তবে কমেছে সবজি ও চালের দাম। অপরদিকে, অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।

শুক্রবার (০৮ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র উঠে এসেছে।

দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি ভারতীয় পেঁয়াজের দরও বেড়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে এর দাম সর্বোচ্চ দাম ছিল ৩৫ টাকা।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারিতে তাঁরা যে দামে কেনেন, তা থেকে কিছুটা লাভ রেখে বিক্রি করেন। আড়তে দাম বাড়ায় তাঁরাও বেশি দামে বিক্রি করছেন।

আর পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে পেঁয়াজ উৎপাদন কম হয়েছে। সপ্তাহখানেক আগে ভারতে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে। এ খবর পেয়ে জেলা-উপজেলার পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজে দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ দেশি পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই।

এদিকে বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, কাঁচা মরিচের সরবরাহ কম। তাই দাম বেশি। বৃষ্টি ও পানি জমে বেশিরভাগ কাঁচা মরিচের খেত নষ্ট হয়েছে। তাই এর দামও বাড়ছে।

রাজধানীর সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। প্রতি কেজি (গোল) বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, পাতা কপি ও ফুল কপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ইন্ডিয়ান টমেটো ৮০ থেকে ৯০ টাকা, সিম ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লতি ৬০ টাকা ও কাকরোল ৬০ টাকা।

আলুর দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ১৮ টাকা কেজি, কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায় আর লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়।

এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, দেশি আদা ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, চায়না আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, হলুদের কেজি ১৬০ টাকা থেকে  ২২০ টাকা, ইন্ডিয়ান ডাল কেজিপ্রতি ৯০ টাকা আর দেশি ডাল প্রতি কেজি বিক্রি  হচ্ছে ১১০ টাকায়।

এদিকে খুচরা প্রতি লিটার ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে চিনির দাম। প্রতি  কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।

বাজারে মিনিকেট চাল প্রতি কেজি ৬৫ টাকা, আটাশ চালের কেজি ৫০ টাকা, নাজিরশাইল চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকায়।

বাজারে দাম বেড়েছে ডিমের। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকায়।

বাজারে আবারও বেড়েছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম। ব্রয়লার কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা। সোনালি মুরগি (কক) কেজিতে ৩০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। গত সপ্তাহে সোনালি মুরগির কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ২৯০ টাকা। লেয়ার মুরগি আগের দামেই ২৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply