fbpx

তাঁর সংগ্রামী জীবন পথ দেখাবে আগামীর তারুণ্যকে

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সামসুল আলম সজ্জনের জন্ম ১৯৭৮ সালের নভেম্বরে। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যায় স্নাতকোত্তর। আশৈশব ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত সজ্জন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। সদ্য প্রয়াত জননেতা মোর্শেদ আলীকে নিয়ে তিনি অল্প কথায় নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন বিবিএস বাংলার মতামত বিভাগে।

ষাটের দশকের কিংবদন্তি ছাত্রনেতা আজীবন সংগ্রামী কমরেড মোর্শেদ আলীর জীবনাবসান হলো আজ। এমন এক সংগ্রামমুখর সময় ছিল যখন সকাল-দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা-রাত হতো কিন্তু মোর্শেদ আলীর আড্ডার টেবিলে জনসমাগম ফুরোত না। কেবল ছাত্ররাই নয় বরং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের অনেকেই হাজির হতেন সেই আড্ডায়। তখন সময় ছিল স্বাধিকার আর স্বাধীনতার সংগ্রাম অভিমূখে বাঙ্গালীর আত্মজাগরণের। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের তৎকালীন ছাত্র মোর্শেদ আলী ছিলেন সেই জাগরণের অগ্নিমশাল প্রজ্জ্বলিত করার এক প্রবাদ প্রতীম অগ্রদূত।

কিশোর বয়সেই ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে কমিউনিস্ট রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত সেই মোর্শেদ আলী ষাটের দশকে হয়ে উঠেন ছাত্র সমাজের প্রিয়মুখ। নির্বাচিত হন ১৯৬৭-৬৮ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস)। সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি নেতৃত্ব দেন ১৯৬৬ সালের ৬ দফা, ৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, আইয়ুবের স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলন পেরিয়ে ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে।

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় থেকে সর্বক্ষণিক বিপ্লবীকর্মী হিসেবে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত প্রায় তিন দশক স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ শ্রমিক, কৃষক ও মেহনতি জনতার সংগ্রামে তিনি ঢাকা মহানগর কমিউনিস্ট পার্টির মুখ্যনেতা হিসেবে পার্টি ও গণসংগঠন বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (টিইউসি) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। এরপর তিনি বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর সিপিবির কন্ট্রোল কমিশনের সদস্য হিসেব দায়িত্বরত ছিলেন।

১৯৪৫ সালের ১৯ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করা কমরেড মোর্শেদ আলী চলতি বছরের ২৬ মার্চ সকালে ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে তাঁকে বারডেম হাসপাতালের এইচডিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। আজ ভোরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মানবতার মুক্তি সংগ্রামে কমরেড মোর্শেদ আলীর অমর অক্ষয় স্মৃতির প্রতি সমাজের সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আজই তাঁর জন্মস্থান পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে শায়িত করা হয়। তবু তাঁর আদর্শ অক্ষয়, অজর। তাঁর সংগ্রামী জীবন পথ দেখাবে আগামীর তারুণ্যকে।

 

Advertisement
Share.

Leave A Reply