fbpx

তিস্তা চুক্তিসহ অমীমাংসিত সব সমস্যা দ্রুত সমাধানের আশা শেখ হাসিনার

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলাদেশ, ভারত এবং এই অঞ্চলে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত অংশীদার হিসেবে একসঙ্গে কাজ করতে পারলে এটি শুধু দুই দেশের জন্যই নয়, এ অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করবে।

নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত ৫৪টি নদী দ্বারা সংযুক্ত ও ৪ হাজার কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে এই ২ দেশের মধ্যে। বাংলাদেশ ও ভারত সম্মিলিত কল্যাণের জন্য সহযোগিতা বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে কূটনীতির রোল মডেল হিসেবে প্রশংসিত।

তিনি বলেন, গত এক দশকে উভয় দেশই বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২ দেশের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব অনেক সমস্যার সমাধান করেছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সইসহ সব অমীমাংসিত সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে।

তিনি ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’র সফল সমাপ্তির জন্য ভারতকে অভিনন্দন জানান।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় বৈঠককে আরেকটি ফলপ্রসূ আলোচনা বলে অভিহিত করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে এই বৈঠকের ফলাফল উভয় দেশের জনগণের জন্য সুফল বয়ে আনবে।

যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা ও ঋণের ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে কয়েকটি বিষয়ে তারা আলোচনা করেছেন বলে জানান শেখ হাসিনা।

তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত সরকার ও জনগণের সমর্থনের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরপর থেকে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ইতিহাস ও সংস্কৃতি, পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধা, দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব এবং অব্যাহত সহযোগিতার মধ্যে এগিয়ে চলছে।

বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে গতি আনতে নরেন্দ্র মোদির দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও নিকটতম প্রতিবেশী।

প্রায় ৩ বছর পর ভারত সফরে গিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর দেশটিতে প্রায় ৬ বছর রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়ার সময়কালের স্মৃতিচারণও করেন শেখ হাসিনা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply