ভোজ্যতেলের দাম লিটারপ্রতি ১২ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিপণনকারী কোম্পানিগুলো। ভোজ্যতেল বিপণনকারী কোম্পানিগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার অ্যাসোসিয়েশন রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দাম বাড়ানো সংক্রান্ত এক চিঠি দিয়েছে।
সেখানে তারা ১ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম ১৮০ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে। নতুন এই দর আগামীকাল মঙ্গলবার (১ মার্চ) থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ও চিঠিতে বলেছে তারা।
ভোজ্যতেল বিপণনকারী কোম্পানি টিকে গ্রুপের পরিচালক (ফাইন্যান্স ও অপারেশন) মো. শফিউল আতহার তাসলিম বলেন, ‘আমরা আশা করি, দু’এক দিনের মধ্যেই দাম নিয়ে আলোচনার জন্য আমাদের ডাকা হবে।’
তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ছেই। এ অবস্থায় দেশে যৌক্তিক দাম নির্ধারণ না করা হলে সরবরাহে ঘাটতি তৈরির আশঙ্কা থাকে।
এই প্রস্তাবে বোতলজাত সয়াবিন তেলের পাশাপাশি খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দামও বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। খোলা সয়াবিনের নির্ধারিত দর লিটারপ্রতি ১৪৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫৭ টাকা, পাম সুপার তেল ১৪৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের বোতলের দাম ৭৯৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮৭০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আমদানিমূল্য বিবেচনায় ৩ ফেব্রুয়ারি ১ লিটার সয়াবিন তেলের বোতল ১৮৬ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে ভোক্তাদের কথা বিবেচনা করে ৬ টাকা ছাড় দিয়ে তারা ১৮০ টাকা নির্ধারণ করে বাজারে ছাড়তে চায়।
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৮ টাকা বেড়েছে। এদিকে বাজারে খোলা তেলের সরবরাহে কিছুটা ঘাটতির কথাও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বাজারে এখন চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা, ময়দা, মুরগি, গরুর মাংসসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। টিসিবির ট্রাকের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও সাধারণ মানুষকে পণ্য না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। এ অবস্থায় নতুন করে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ালে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস আরও দীর্ঘ হবে।
