fbpx

তৈরি পোশাক রফতানি ২০ শতাংশ কমার শঙ্কা বিজিএমইএ’র

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

শিল্প কারখানাগুলোতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট এবং ইউরোপে চাহিদা কমায় আগামী দুই মাসে পোশাক খাতে রফতানি ২০ শতাংশ কমবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

রবিবার (৩০ অক্টোবর) বিজিএমই এর প্রধান কার্যালয়ে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক এবং ৩৭তম আইএএফ ওয়ার্ল্ড ফ্যাশন কনভেনশন’ বিষয়ে মিট দ্য প্রেসে এ শঙ্কার কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান।

তিনি বলেন, ‘গত দুই মাসে আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, আমাদের তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশ ধাপে ধাপে কমছে। গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত পোশাক শিল্পে টানা প্রবৃদ্ধি হয়েছে। যে কারণে গত অর্থবছরে এ শিল্প খাত থেকে রফতানি হয়েছে ৪২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতা, মূল্যস্ফীতি এবং খুচরা বাজারে প্রভাবের কারণে যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানিসহ প্রধান বাজারগুলোতে প্রবৃদ্ধি কমছে।‘

বিশ্বজুড়ে জ্বালানি সংকট চলছে উল্লেখ করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘স্থানীয় পর্যায়ে গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটের প্রভাব আমাদের পোশাক শিল্পেও পড়েছে। এতে করে শিল্পে ব্যয় বাড়ছে দুই ভাবে। বিদ্যুতের অপ্রতুলতার কারণে কারখানাগুলোতে ডিজেল দিয়ে জেনারেটর চালানো হচ্ছে। বেশি সময় জেনারেটর চালানোর কারণে সেগুলো ঘন ঘন বিকল হচ্ছে। এতে শিল্পে উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে।’

শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখার দাবি করে ফারুক হাসান বলেন, ‘সরকারের কাছে একান্ত অনুরোধ রফতানিমুখী শিল্প কারখানাগুলোতে বিশেষ ব্যবস্থায় চাহিদা অনুযায়ী নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ করা হোক। অন্যথায় রফতানি আয় ক্রমাগত কমতে থাকবে। এতে নভেম্বর মাসেও রফতানি আয় হ্রাস পাওয়ার শঙ্কা থেকেই যাবে।’

সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে এনে রফতানিমুখী শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বেশি দেওয়া যায় কি-না, সেটা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের ভাবারও আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি।

উৎসে কর নিয়ে বলেন, ‘উৎসে কর যা এ বছরে ১ শতাংশ করা হয়েছে, সেটি পূর্ববর্তী বছরের মতো একই পর্যায়ে রাখা হোক।’

সংবাদ সম্মেলনের আগে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াতে বিজিএমইএ ভবনে ‘সেন্টার অব ইনোভেশন, এফিশিয়েন্স অ্যান্ড ওএসএইচ’ সেন্টারের উদ্বোধন করেন বিজিএমইএ সভাপতি।

সেন্টারটির গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিল্পবের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রযুক্তি এবং অটোমেশন। আমরা এমনভাবে কাজ করতে চাই, যাতে করে আগামী চতুর্থ শিল্প বিল্পবের চ্যালেঞ্জগুলো সুযোগে পরিণত করতে পারি। এই চ্যালেঞ্জকে সুযোগে পরিণত করতে ইনোভেশন সেন্টার সুস্পষ্ট নির্দেশনা ও সহায়তা দেবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply