fbpx

দশ ঘণ্টার মধ্যেই অসংরক্ষিত হয়ে গেল সৈকত!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে সম্প্রতি কয়েকটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যাওয়ায়। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তার কথা ভেবে লাবণী পয়েন্টে দেড়’শ মিটার এলাকাজুড়ে সাইনবোর্ড ও বিশেষ পতাকা লাগিয়ে নারী ও শিশুদের জন্য আলাদা জোন ঘোষণা করে গতকাল উদ্বোধন করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।

কিন্তু এ জোন উদ্বোধনের ১০ ঘণ্টার মধ্যেই তা আবার প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত কেন নিলেন জেলা প্রশাসক? জানতে চাওয়া হলে এ বিষয়ে তিনি কথা বলেন নি, কথা বলেছেন কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আমিন আল পারভেজ।

জোন ঘোষণার পরেই প্রত্যাহারের বিষয়ে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন পর্যটকদের মতামতের ওপর পুরোপুরি শ্রদ্ধাশীল। কিছু সংখ্যক পর্যটকের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এটি উদ্বোধনের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানা মহলে আলোচনা সমালোচনা ও বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায় এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ল্যাবনী পয়েন্ট বালিয়াড়িতে ওই স্থানটি পৃথক করা হয়েছিল। সেখানে  বিনোদনের জন্য কিটকট, বিচ-বাইক ও জেটস্কির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এছাড়া নিরাপত্তা ও সেবা প্রদানে নিয়োজিত  রাখা হয়েছিল নারী কর্মীদের।

এদিকে কক্সবাজারে সংরক্ষিত জোন ঘোষণার পরে তা নিয়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায় গতকাল ২৯ ডিসেম্বর (বুধবার) রাত ১০ টার দিকে সংরক্ষিত জোন বাতিলের ঘোষণা দেয়া হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসনের ফেসবুক গ্রুপে একটি স্ট্যাটাস দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) মো. আবু সুফিয়ান।

ওই স্ট্যাটাসে লেখা হয়, ‘জেলা প্রশাসন পর্যটকদের মতামতের ওপর সব সময় শ্রদ্ধাশীল। বিভিন্ন সময়ে পর্যটকদের মধ্যে অনেকে অনুরোধ করেছেন নারী ও শিশুদের জন্য এক্সক্লুসিভ জোন থাকলে ভালো হয়। সেই বিবেচনায় বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সিদ্ধান্তে পৃথক এলাকা চিহ্নিত করে নারী-শিশুদের জন্য এক্সক্লুসিভ জোন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এক্সক্লুসিভ জোনে যাদের ইচ্ছা হবে যাবে, আর অন্য পর্যটকরা তাদের ইচ্ছেমত ঘুরবেন।

এ সংক্রান্ত সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হয়। প্রচারিত সংবাদের প্রতিক্রিয়া ও পর্যালোচনায় বিষয়টি নিয়ে বিরূপ মতামত পাওয়া যায়। পর্যটকদের মতামতের ওপর সব সময় আমরা শ্রদ্ধাশীল, সুতরাং পর্যটকদের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নারী ও শিশুদের জন্য এক্সক্লুসিভ জোন চালু রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হলো।’

তবে জোন আলাদা করার বিষয়ে পর্যটকদের ক্ষোভ ছিল, দূর থেকে আসা পর্যটকরা একে অপর থেকে আলাদা হয়ে কিংবা স্বামী থেকে স্ত্রী আলাদা হয়ে সমুদ্র নামবে, এতে নিরাপত্তার চেয়ে অনিরাপত্তা ও ঝুঁকির আশঙ্কা বেশি থাকে।।

Advertisement
Share.

Leave A Reply