fbpx

দুই বছর পর নিয়োগপত্র পেলেন ৩৬ হাজার শিক্ষক

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে নিয়োগপত্র হাতে পেলেন সারা দেশে সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩৬ হাজারের বেশি শিক্ষক।

দুই বছর আগে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শূন্যপদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ পাবলিক  সার্ভিস কমিশন থেকে সুপারিশ করা হয়। কিন্ত পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে দুই বছর এই নিয়োগ আটকে রাখা হয়।

সোমবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তার পক্ষ থেকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সরকারি মাধ্যমিক ও বেসরকারি স্কুলে ৫ জন করে শিক্ষকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। বাকিরা ভার্চুয়াল মাধ্যমে তাদের নিয়োগপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।

আর যেসব প্রার্থী ভি রোল ফরম পাঠাননি তাদের আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এনটিআরসিএ অফিসে সরাসরি অথবা রেজিস্টার্ড ডাকযোগে জমা দেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় তাদের প্রাথমিক নির্বাচন বাতিল করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

সেখানে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট প্রার্থী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সুপারিশপত্র ডাউনলোড করবেন। সুপারিশপত্রে উল্লেখ করা তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মানসম্মত শিক্ষার বড় একটি ধাপ হচ্ছে স্বচ্ছভাবে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া। আমরা এবার সরকারি বেসরকারি স্কুলে সম্পূর্ণ স্বচ্ছভাবে শিক্ষক নিয়োগ দিতে সক্ষম হয়েছি। একটা সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের ইচ্ছামতো শিক্ষক নিয়োগ দিত। সেটি নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ পাওয়া যেত, সেখান থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি।’

এ নিয়োগের মাধ্যমে সারাদেশের শিক্ষকের শূন্য পদগুলোর অধিকাংশ পূরণ হবে বলে মনে করেন দীপু মনি। জানান, এর পরেও কোথাও শূন্যপদ থাকলে নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

মন্ত্রী জানান, নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের পুলিশ ভেরিফিকেশন কাজ শেষ না হওয়ায় তাদেরকে শর্তসাপেক্ষে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। সরকারি রিপোর্টে তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর কোনো অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে বাদ দেয়া হবে।

তিনি বলেন, ‘আপনারাই (শিক্ষক) ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের তৈরি করবেন। শিক্ষার্থীদের আপনারা সফট স্কিল শেখাবেন সেগুলো সম্পর্কে আপনাদেরও স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের সুপরামর্শ প্রয়োজন। সে কারণেও তাদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে। আজ যারা নিয়োগ পাচ্ছেন, তারা নানা ধরনের প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যাবেন। কর্মজীবনে সফল হতে হলে একদম প্রথম থেকেই যত ধরনের প্রশিক্ষণ নেয়া সম্ভব, তা নিতে হবে।’

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সকল কার্যক্রম বিপর্যয়ের মধ্যে থাকলেও শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যাহত ছিল। সেই সুবাদে আজকে সারা দেশে একসঙ্গে সরকারি-বেসরকারি ৩৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply