fbpx

দুই বছর পর শোলাকিয়ায় অনুষ্ঠিত দেশের সবচেয়ে বড় জামাত

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। গত দুই বছর করোনার কারনে এই জামাত বন্ধ ছিলো। মঙ্গলবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই শুরু হয় বৃষ্টি। প্রচণ্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করেই শোলাকিয়া মাঠে ছিল মুসল্লিদের ঢল। এবারের জামাতে প্রায় চার লাখ মুসল্লি ঈদুল ফিতরের নামাজের অংশ নিয়েছেন বলে ধারণা করছেন আয়োজকরা।

সকাল ১০টায় শুরু হয় জামাত। ১৯৫তম জামাতে ইমামতি করেন বড়বাজার মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা শোয়াইব বিন আব্দুর রব। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

গতকাল রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই শহরে মুসল্লিরা প্রবেশ করতে থাকে। ভোরবেলা হাজার হাজার মুসল্লিদের পদচারণায় কিশোরগঞ্জ শহরের রাস্তাঘাট ভরে যায়। কড়া নিরাপত্তার মধ‌্যে মুসল্লিরা মাঠে প্রবেশ করে জামাতে অংশ নেন। দুই বছর পর শোলাকিয়ায় জামাত হওয়ায় বহু মুসল্লি মাঠের আশপাশের রাস্তাগুলোতে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেছেন।

২০১৬ সালে জঙ্গি হামলার পর থেকে শোলাকিয়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়। দু বছর পর জামাত হওয়ায় এবার আরও বেশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। দুটি ওয়াচ টাওয়ারে স্নাইপিং রাইফেল নিয়ে দায়িত্ব পালন করে র‌্যাব সদস্যরা। বাকি চারটি ওয়াচ টাওয়ারে ছিলেন পুলিশ সদস‌্যরা। নজরদারিতে আকাশে ওড়ে পুলিশের বেশ কয়েকটি ক্যামেরা ড্রোন। মোতায়েন ছিল মাইন সুইপিং ও বোমা। নিষ্ক্রিয়করণ দল, পুরো মাঠ ও আশপাশের এলাকা ছিল সিসি ক্যামরার নজরদারিতে।

ঈদের জামাতকে ঘিরে শহরের মোড়ে মোড়ে নির্মাণ করা হয় শুভেচ্ছা তোরণ। রাস্তার দু পাশে টাঙানো হয় রঙবেরঙের পতাকা ও ব্যানার। মুসল্লিদের সুবিধায় পুরো মাঠ ও আশপাশে খাবার পানির ব্যবস্থা রাখে পৌর কর্তৃপক্ষ। মাঠে তৎপর ছিল স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিক্যাল টিম। স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করে স্কাউট সদস্যরা। সকালে শোলাকিয়া এক্সপ্রেস নামে দুটি বিশেষ ট্রেন ভৈরব ও ময়মনসিংহ থেকে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি নিয়ে কিশোরগঞ্জে আসে।

১৮২৮ সালে এই মাঠে ঈদের জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছিলেন বলে কথিত আছে। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’। এখন তা শোলাকিয়া নামেই পরিচিত।

Advertisement
Share.

Leave A Reply