fbpx

৫ বছরের সাজা থেকে মুক্তি পেলেন নিরপরাধ কামরুল

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

নোয়াখালীর কামরুল ইসলামের ৫ বছরের সাজার রায় বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। পাশপাশি প্রত্যাহার করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ১৮ বছর আগের নম্বর জালিয়াতির এক মামলায় অনুসন্ধানে ভুলের কারণে ৫ বছরের সাজা হয়েছিল কামরুল ইসলামের। বৃহস্পতিবারের রায়ে কামরুলের সাজাপরোয়ানা ‘কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড’ প্রত্যাহার করেছেন হাইকোর্ট। একইসাথে দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে ২৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার এই রায় দেন। আদালতে নিরপরাধ কামরুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

ঘটনার বিবরণে বলা হয়, এসএসসির মার্কসিট ও সনদপত্রে জালিয়াতি করে নোয়াখালীর মাইজদী কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি হন পশ্চিম রাজারামপুর কামরুল ইসলাম। পরে জালিয়াতির ঘটনা নজরে আসায় কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতির অভিযোগে ২০০৩ সালে মামলা করেন শহীদুল ইসলাম। মামলার এজাহারে আসামির ঠিকানা ‘পশ্চিম রাজারামপুর’ থেকে হয়ে যায় ‘পূর্ব রাজারামপুর’। এরপর তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর তদন্ত কর্মকর্তা (দুদকের উপপরিচালক) মাহফুজ ইকবাল এ মামলার তদন্ত করেন এবং ভুল আসামির বিরুদ্ধেই নোয়াখালীর বিচারিক আদালতে চার্জসিট দাখিল করেন।

মামলা দায়েরের প্রায় ১০ বছর পর ২০১৩ সালে দুদক ওই চার্জশিট দাখিল করে। পরে আসামিকে পলাতক দেখিয়ে নোয়াখালীর বিচারক আদালতে শুরু হয় এর বিচার কার্যক্রম। এ মামলার চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালে রায় দেন আদালত। জালিয়াতির অপরাধে মোট তিনটি ধারায় ভুল আসামিকে (পূর্ব রাজারামপুরের মো. কামরুল ইসলাম) পাঁচ বছর করে মোট ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত।

Advertisement
Share.

Leave A Reply