স্থলভাগে এসে দুর্বল হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানা প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল। ঘূর্ণিঝড়ের জন্য পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে দেওয়া ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। আবার চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে দেওয়া ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেতও প্রত্যাহার করা হয়েছে। চার বন্দরেই ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। চার বন্দরেই ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) বেলা ১১টার দিকে আবহাওয়া অধিদফতরের ১৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বেলা ১১টায় আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান অধিদফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রিমালের দুর্বল হয়ে যাওয়ার তথ্য জানান। তিনি বলেন, রেমাল এখন স্থল গভীর নিম্নচাপ হিসেবে যশোর ও এর কাছাকাছি এলাকায় আছে। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে যাবে। আর আরও বৃষ্টি ঝরিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হবে।
আজিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর রবিবার রাতে খেপুপাড়ায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতি রেকর্ড করা হয় ১১১ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় এখনও ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি চলছে।
গতকাল রোববার রাত আটটার দিকে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম শুরু করে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলাসহ উপকূলের বিভিন্ন জেলায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়। এর প্রভাবে বিভিন্ন এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়।