fbpx

দূরপাল্লার বাস চালানোর অনুমতি চায় পরিবহন শ্রমিকরা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সারাদেশে সরকারের নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরপাল্লার বাস চালানোর অনুমতিসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে সড়ক পরিবহন সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো। শনিবার (৮ মে) প্রেসক্লাবে যৌথভাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান।

দাবি বাস্তবায়ন না হলে ঈদের নামাজ শেষে সারাদেশের মালিক ও শ্রমিকরা নিজ নিজ এলাকায় বাস ও ট্রাক টার্মিনালে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে। এছাড়া এছাড়া ঈদ পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

তাদের পাঁচদফা দাবিগুলো হলো-

১। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে দূরপাল্লার পরিবহনসহ সব গণপরিবহণ এবং স্বাভাবিক মালামাল নিয়ে পণ্য পরিবহন চলাচলের সুযোগ দিতে হবে।

২। লকডাউনের কারণে কর্মহীন সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের আসন্ন ঈদের পূর্বে আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করতে হবে ও লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় মালিকদের (শ্রেণিমতো) যানবাহন মেরামত, কর্মচারী ও শ্রমিকের বেতন, ভাতা ও ঈদ বোনাস ইত্যাদি দেওয়ার জন্য নাম মাত্র সুদে ও সহজ শর্তে পাঁচ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিতে হবে।

৩। সারাদেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলোতে পরিবহন শ্রমিকদের জন্য আসন্ন ঈদের পূর্বে ও পরে ১০ টাকায় ওএমএস’র চাল বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।

৪। করোনার কারণে গণপরিবহণ ব্যবসায় অর্থ বিনিয়োগের বিপরীতে সমস্ত ব্যাংক ঋণ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ ও ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ঋণের সুদ মওকুফসহ কিস্তি আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করতে হবে এবং ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট নিয়ে ক্লাসিফাইড ঋণগুলো আনক্লাসিফাইড করতে হবে।

৫।  লকডাউনে বন্ধ থাকার সময় গাড়ির ট্যাক্স টোকেন, রুট পারমিট ফি আয় কর, ড্রাইভিং লাইসেন্স ফিসহ সব ধরনের ফি, কর ও জরিমানা মওকুফ করে এবছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাগজপত্র হালনাগাদ করার সুযোগ দিতে হবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply