শরৎ মানেই, আকাশে তুলো মেঘ, ধরণীতে কাশ ফুলের দোলদুলোন, আর বাতাসে পুজো পুজো গন্ধ। প্রকৃতিই যেন বলে দেয় উমা আসছেন।
দেবী দূর্গাকে মর্তে আহ্বানের প্রতিক্ষায় এখন সনাতন ধর্মলম্বীরা। কুমোর পড়ায় দিন রাত এক করে চলছে প্রতিমা নির্মাণ। নিমগ্ন সাধানায় দেবীকে মনের মত করে ফুটিয়ে তুলছেন তারা।
কোথাও চলছে প্রতিমা গড়া, আবার কোথাও রং বসছে। বাংলাবাজারের এই প্রতিমা শিল্পীরা প্রায় ১০ থেকে ১২ টি মন্ডপের জন্য প্রতিমা গড়ছেন এবার। শাঁখারী বাজার, তাঁতী বাজারসহ এই প্রতিমা যাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
বসয় আশি ছুঁই ছুঁই। এখনও এমন একনিষ্ঠ ভাবে প্রতিমার গড়ছেন বিখ্যাত মৃত শিল্পী হরিপদ পাল। শরীর খানিকটা অসুস্থ, কিন্তু কাজের নেশা, আর জীবিকার তাগিদ – ক্ষমা করেছে ক্লান্তি।
তিনি বলেন ‘ আমাদের বংশ পরম্পরার কাজ তো। ছোট বেলা থেকেই এই কাজটা করছি। শিল্প কর্মের মাধ্যমে যে পয়সাটা পাচ্ছি, আসলে আগাগোড়াই এখাবেই যাচ্ছে। মজুরির সংখ্যা খুব বেশি বাড়ে নাই। তবুতো কাজ করতে হয়। এই কাজ করেই খাই তো।’
প্রতিমার অলংকার আর সাজসজ্জার উপাদান নিয়ে পসরা বসেছে শাঁখারী বাজারে। গিরিকন্যা তো আর একা আসবেন না, সাথে রয়েছেন লক্ষী, স্বরস্বতি, কার্তিক, গনেশসহ গোটা পরিবার। রয়েছেন মহিষাসুরও। তাদের গয়না, কাপড়, মালা, গদা, ত্রিশুল, ঢালও পাওয়া যাচ্ছে এসব দোকানে। বছর ঘুরে মহাসাসুমর্দিনী আবারও পৃথিবীর জন্য আশির্বাদ বয়ে আনবেন, অন্ধকার ঘুচিয়ে আলোর পথ দেখাবেন, এমনটাই বিশ্বাস করেন ভক্তরা।