fbpx

দেশে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হবে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন না হলে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

কক্সবাজারে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থানের নেতিবাচক দিক, বিশেষ করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বসবাসরত মূল জনগোষ্ঠীর ওপর তার বিরূপ প্রভাবের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, যদি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দ্রুত শুরু করা না হয়, তাহলে তা শুধু ওই এলাকারই সামগ্রিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটাবে না, বরং সংশ্লিষ্ট অঞ্চল ও তার বাইরেও অস্থিরতা সৃষ্টি করবে।

গতকাল বুধবার (১৬ জুন) নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জে জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন এস বার্গনারের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এসব কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আব্দুল মোমেন বলেছেন, মানবিক বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হলেও সংকট সমাধানে মিয়ানমারকে নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ চায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে জাতিসংঘ একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করুক।

এ সময় আব্দুল মোমেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূতকে ভাসানচর প্রকল্পের কথা অবহিত করে বলেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। সেখানে জাতিসংঘ যেন মানবিক সহায়তা প্রদান করে, সে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন তিনি।

করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে বিশেষ দূত বার্গনারকে ভাসানচর পরিদর্শনে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের উপযোগী অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দ্রুত সেখানে যেন প্রত্যাবাসনের কাজ শুরু করা যায়, সেজন্য জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রসহ মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ-বাহ্যিক সব অংশীজনদের সাথে বিশেষ দূত বার্গনার যোগাযোগ-আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন বলে অবহিত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনকে। এ সময় বার্গনার ভাসানচর পরিদর্শন করতে তার আগ্রহের কথাও জানান।

বিশেষ দূতের সাথে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের প্রধান আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রুয়ার সাথে ভার্চুয়াল এক বৈঠকে মিলিত হন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply