fbpx

দেশে বেড়েছে গড় আয়ু ও বিচ্ছেদের হার

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

এক বছরের ব্যবধানে দেশে তালাকের হার দ্বিগুণ হয়েছে। আর গত পাঁচ বছরের মধ্যে এ হার এখন সর্বোচ্চ। পাঁচ বছরের মধ্যে ২০২২ সালে দেশে শিশু মৃত্যুহার সর্বোচ্চ ছিল। এ সময়ে এক মাস, এক বছর থেকে পাঁচ বছর বা সব বয়সী শিশুর মৃত্যুহার বেড়েছে। একই সময়ে বেড়েছে বাল্যবিবাহের হারও।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২২ শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ভবনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিবিএস। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন।

বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে দেশে প্রতি হাজারে তালাকের হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৪ জন। যা আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে ছিল শূন্য দশমিক ৭ জন। গত পাঁচ বছর এ হার হাজারে একজনের নিচে থাকলেও এবার প্রথমবারের মতো তা প্রায় দেড় শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে। আর ২০২০ সালে এ হার ছিল শূন্য দশমিক ৮ জন। যা ২০১৮ সালে ছিল শূন্য দশমিক ৯ জন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে শহরের তুলনায় গ্রামে তালাকের হার বেশি। শহরে ২০২২ সালে প্রতি হাজারে তালাকের হার একটি। এ সময়ে গ্রামে তালাকের হার ১ দশমিক ৪টি। তবে গ্রামের তুলনায় শহরে তালাক বৃদ্ধির হার বেশি। দেশে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭ দশমিক ৪ শতাংশ তালাকপ্রাপ্ত, বিধবা অথবা দাম্পত্য বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। যেখানে বিবাহিত মানুষের হার ৬৩ শতাংশ এবং অবিবাহিত জনসংখ্যার হার ২৮ শতাংশ।

এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে বাল্যবিবাহ। ১৮ বছরের আগে বিয়ে হচ্ছে ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ নারীর। ২০২১ সালে এ হার ছিল ৩২ দশমিক ৪ শতাংশ। আর ১৫ বছরের আগে নারীদের বিয়ের হার ৪ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে ২০২২ সালে বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। শহরের তুলনায় গ্রামে বাল্যবিবাহের প্রবণতা বেশি।

প্রতিবেদন বলছে, ২০২২ সালে এক বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে প্রতি হাজারে মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। যেখানে ২০২১ সালে এ হার ছিল ২২ জন। আর পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে ২০২২ সালে প্রতি হাজারে ৩১ জন শিশু মারা গেছে। এর আগের তিন বছরে এ সংখ্যা ছিল ২৮ এবং ২০১৮ সালে ছিল ২৯ জন।

১ থেকে ৪ বছর বয়সী শিশুর মৃত্যুহার ছিল হাজারে ১ দশমিক ৮ জন, যা ২০২১ সালে ছিল ১ দশমিক ৬ জন। এক মাসের কম বয়সীদের মৃত্যুও গত বছর হাজারে ১৭ জন ছিল, যা ২০২১ সালে ছিল ১৬ জন। নারীদের গড় বিয়ের বয়স ১৮ দশমিক ৮ বছর। যেখানে পুরুষের বয়সের হার ২৫ দশমিক ৩ বছর।

২০২২ সালে এসে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারকারীর সংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে। ২০২১ সালে এ হার ৬৫ দশমিক ৬ শতাংশ হলেও গত বছর এ হার ৬৩ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে আসে। শহেরর তুলনায় গ্রামে এ হার বেশি কমে এসেছে।

গত এক বছরে বিদেশে অভিগমন দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। ২০২২ সালে বিদেশে গেছেন হাজারে ৬ দশমিক ৬ জন, যা এর আগের বছর ছিল মাত্র তিনজন। তবে একই সময়ে বিদেশ থেকে ফেরত আসার প্রবণতাও বেড়েছে। ২০২২ সালে প্রতি হাজারে বিদেশ থেকে ফেরত এসেছেন ৩ জন, যা আগের বছর ছিল ১ দশমিক ৯ জন।

পরিসংখ্যানের তথ্যমতে, পয়োব্যবস্থাপনার সুযোগ ৬৮ শতাংশ থেকে কমে ২০২২ সালে ৬৬ দশমিক ১ শতাংশে নেমেছে। একই সময়ে মাতৃমৃত্যু প্রতি লাখে ১৬৮ জন থেকে হ্রাস পেয়ে ১৫৬ জনে নেমেছে। প্রত্যাশিত আয়ু ৭২ দশমিক ৩ বছর থেকে কিছুটা বেড়ে ৭২ দশমিক ৪ বছর হয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply