fbpx

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও ব্যবসা সম্প্রসারণে ব্রাজিল সরকারকে পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে বাণিজ্যিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।

ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস রবিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম।

এসময় শেখ হাসিনা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও ব্যবসা সম্প্রসারণে ব্রাজিল সরকারকে পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানান।

প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলের সাথে এবং আরও তিনটি মার্কোসুর (দক্ষিণ সাধারণ বাজার) দেশ- আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে এবং উরুগুয়ের সাথে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) বা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে একটি উন্নয়নশীল দেশে চূড়ান্তভাবে স্নাতক হবে।

মার্কোসুর দেশগুলির সাথে পিটিএ বা এফটিএ স্বাক্ষরের বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শীঘ্রই চুক্তি স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলেন। দুটি দেশই কৃষিপ্রধান হওয়ায় তিনি বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে কৃষি সহযোগিতা বাড়ানোর ওপরও জোর দেন।

ব্রাজিলের বাজারে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য ফার্মাসিউটিক্যালস প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্রাজিলের বাজারে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার কারণে ফার্মা আইটেমগুলো এখন কিছু সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হচ্ছে। এসময় শেখ হাসিনা ব্রাজিলের কর্তৃপক্ষকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার কথা বলেন।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে ব্রাজিলের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি ব্রাজিলের নতুন প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভাকে অভিনন্দন জানান।

ব্রাজিলিয়ান ফুটবল পেলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশের পাশাপাশি তার পরিবার ও ব্রাজিলের জনগণের প্রতি সমবেদনা জানান শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ব্রাজিলের বাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ব্রাজিল বাংলাদেশী আরএমজি পণ্যের একটি বড় বাজার হতে পারে।

তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে বাণিজ্য ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার বিশাল সুযোগ রয়েছে। পাওলো ফার্নান্দো দুই দেশের মধ্যে জনগণ থেকে জনগণ এবং ব্যবসায়ী থেকে ব্যবসায়ি যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর জোর দেন।

তথ্যসূত্র: বাসস

Advertisement
Share.

Leave A Reply