পরিবহন ধর্মঘটের কারণে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপের সামাল দিতে ট্রেনে অতিরিক্ত বগির বন্দোবস্তু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
পরিবহন মালিকরা ডিজেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে বাস-ট্রাক চালানো বন্ধ রেখেছে। এ বিষয়ে রবিবার বৈঠক ডেকেছে বিআরটিএ। এদিকে দাবি না মানা হলে সড়কে বাস চলবে না বলে জানিয়েছে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
শনিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন ট্রাক শ্রমিক-মালিক ফেডারেশনের অতিরিক্ত মহাসচিব আব্দুল মোতালেব।
এমন পরিস্থিতিতে যাত্রীদের ভিড় বাড়ছে ট্রেনে। সেই চাপ সামাল দিতে রেল বিভাগ বগি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়ে যাওয়ায় শনিবার যারা কমলাপুর স্টেশনে গেছেন, তাদের অধিকাংশই ট্রেনের টিকেট পায়নি।
কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন ট্রেনে ২২টি অতিরিক্ত বগি যোগ করেছি। প্রয়োজনে আরও যোগ করা হবে।‘
করোনার কারণে এখনও দাঁড়িয়ে ভ্রমণের (স্ট্যান্ডিং) টিকেট বিক্রি করছে না রেল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি টিকেট ছাড়া কাউকেও উঠতে দিচ্ছে না। ফলে যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে বড় দুর্ভোগে।
মাসুদ সারোয়ার বলেন, ‘ধর্মঘট থাকার কারণে ট্রেনে যাত্রীর চাপ বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। আমাদের এখানে যাত্রী দ্বিগুণ হয়েছে। তবে টিকিটের বাইরে আমরা কাউকে উঠতে দিচ্ছি না।‘
যাত্রীদের চাপ কমাতে ‘স্ট্যান্ডিং টিকেট’ চালু করা হবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ স্বাস্থবিধি মেনে যাত্রীদের উঠাচ্ছি। এখানে স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রির কোনো নির্দেশনা এখনও আসেনি।‘