fbpx

নবনির্বাচিতদের শপথ ও মন্ত্রিসভা গঠনের প্রক্রিয়া শুরু

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের মাধ্যমে টানা চারবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এবার নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নামে গেজেট প্রকাশ এবং তাদের শপথ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে। এরপর পরই মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে।

রোববারের ভোটের বেসরকারি ফল প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার বিকেলেই তাদের নামের তালিকা বিজি প্রেসে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবারের মধ্যে গেজেট ইসির হাতে পৌঁছাতে পারে। আইন অনুযায়ী, গেজেট প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে সংসদ সদস্যদের শপথ নিতে হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ২৯৯ আসনে ভোটগ্রহণ চলে। ভোটগ্রহণের পর গণনা শেষে ফল ঘোষণা করা হয়। সোমবার নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ফল অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ ২২২টি আসন পেয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৬২টি আসন। জাতীয় পার্টির প্রাপ্ত আসনসংখ্যা ১১। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি একটি করে আসন পেয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং জাতীয় সংসদ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বৃহস্পতিবার নবনির্বাচিত এমপিদের শপথ অনুষ্ঠিত হতে পারে। শপথ নেওয়ার সব আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। নবনির্বাচিত এমপিরা শপথ নিলে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যেই নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হতে পারে পারে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর এখন সংসদ সদস্যদের শপথ এবং মন্ত্রিসভা গঠনের আলোচনা ও প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আগে বা পরে এমপিদের শপথ হবে। এরপরই মন্ত্রিসভা গঠন হবে।

আগামী ১০ জানুয়ারি বুধবার ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। ওই দিন দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন। এ সমাবেশ অনেকটা বিজয় সমাবেশ হিসেবেই রূপ নেবে। সে কারণে বৃহস্পতিবারও শপথ হতে পারে।

যেহেতু নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে মন্ত্রিসভা আছে, সেক্ষেত্রে বর্তমান সংসদের মেয়াদ ও মন্ত্রীদের পদে থাকার বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। মন্ত্রীদের পদের মেয়াদের বিষয়ে বাংলাদেশের সংবিধানে (৫৮/৪) বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে বা স্বীয় পদে বহাল না থাকলে মন্ত্রীদের প্রত্যেকে পদত্যাগ করেছেন বলে গণ্য হবে, তবে এ পরিচ্ছেদের বিধানাবলী-সাপেক্ষে তাদের উত্তরাধিকারীরা কার্যভার না নেওয়া পর্যন্ত তারা স্ব স্ব পদে বহাল থাকবেন।
আর প্রধানমন্ত্রীর পদের মেয়াদের বিষয়ে সংবিধানে (৫৭/৩) বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাধিকারী কার্যভার না নেওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে স্বীয় পদে বহাল থাকতে এ অনুচ্ছেদের কোনো কিছুই অযোগ্য করবে না।

মন্ত্রিসভার একজন সদস্য জানান, নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যসহ বর্তমানে প্রায় সাড়ে চারশর মতো সংসদ সদস্য রয়েছেন। আগের সংসদের মেয়াদ চলতি জানুয়ারি পর্যন্ত। আর মন্ত্রীদের মেয়াদ নতুন মন্ত্রিসভা গঠন না হওয়া পর্যন্ত। ফলে মেয়াদ নিয়ে জটিলতা নেই। বিষয়টি সংবিধানে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

রীতি অনুযায়ী, নবনির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশের পর শপথের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্পিকারের কাছে তা পাঠাবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। সংসদ নির্বাচনের ফল গেজেট আকারে প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে শপথের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এরপর ৩০ দিনের মধ্যে অধিবেশন ডাকতে হবে। তবে ভোটের কত দিনের মধ্যে গেজেট হবে, সে বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

Advertisement
Share.

Leave A Reply