fbpx

নাগরিকত্ব ছাড়া মিয়ানমার ফিরতে চায় না রোহিঙ্গারা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

চীনের মধ্যস্থতায় মে মাসের মধ্যেই পাইলট ভিত্তিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য সবচেয়ে জরুরি নাগরিকত্ব সমস্যার সমাধান ছাড়াই প্রক্রিয়া শুরু করতে চায় নেপিদো।

তারই অংশ হিসেবে ২০ রোহিঙ্গাসহ ২৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেখানকার পরিবেশ ও আবাসন ব্যবস্থা দেখাতে। শুক্রবার সকালে কক্সবাজারের টেকনাফের ট্রানজিট জেটি ঘাট দিয়ে প্রতিনিধি দল মিয়ানমারের উদ্দেশে যাত্রা করে। এ দিনই বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে একই পথে টেকনাফে ফিরে এসেছেন তাঁরা।

রোহিঙ্গা নেতারা ফিরে এসে নাগরিকত্ব, নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন দাবি তুলেছেন। তাদের মন্তব্যে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা নিয়ে নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে রোহিঙ্গাদের দাবি, নাগরিকত্ব দিয়েই প্রত্যাবাসন শুরু করতে হবে।

শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিয়ানমার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের নিয়ে আমরা মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট এলাকা ঘুরে এসেছি এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ খুবই আন্তরিক।

মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ দ্রুত সময়ের মধ্যে আবারও বাংলাদেশে এসে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলবেন, এরপর প্রত্যাবাসন শুরু হবে। তবে যেভাবেই হোক না কেন আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চাই।

রাখাইনে যাওয়া রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলের প্রধান মোহাম্মদ ছলিম বলেন, রাখাইনে ১৫টি গ্রাম পরিদর্শনের পাশাপাশি রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলকে রাখাইনে প্রত্যাবাসনের জন্য সহায়ক কী পরিমাণ অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে, তা দেখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে তারা প্রত্যাবাসনের আগে নাগরিকত্ব না দিয়ে এনবিসি কার্ড (অতিথি কার্ড) দিয়ে রোহিঙ্গাদের নিয়ে যেতে চায়।

মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ বলেছে, সেখানে যাওয়ার ছয় মাস পর নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এর উত্তরে আমরা বলেছি, আগে নাগরিকত্ব দিয়ে প্রত্যাবাসন শুরু করতে হবে।

রোহিঙ্গা নেতাদের শেষ কথা হচ্ছে, আমাদের নিরাপত্তা, নাগরিকত্ব, ভিটামাটি না দিলে আমরা মিয়ানমার ফিরে যাব না’।

এখন পর্যন্ত প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ থেকে যে আট লাখ রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমারে পাঠানো হয়েছে। তার মধ্য থেকে পাইলট প্রকল্পের আওতায় প্রথম ধাপে ১ হাজার ১৪০ জন রোহিঙ্গাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭১১ জন রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সম্মতি পাওয়া যায়। অবশিষ্ট ৪২৯ জন রোহিঙ্গার বিষয়ে মিয়ানমারের আপত্তি ছিল। পরবর্তীতে যাচাই বাচাইয়ের মাধ্যমে সে আপত্তিও তুলে নিয়েছে মিয়ানমার।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর প্রবল চাপ রয়েছে। আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতেও (আইসিজে) রোহিঙ্গা জেনোসাইডের অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। চীন এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর চেষ্টা করছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply