শুক্রবার (৯ জুন) দুপুরে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ড থেকে সেবিকার পোশাক পরে মধ্য বয়সী এক নারী নবজাতকটি চুরি করে নিয়ে যান। তবে এখনো নবজাতকটি উদ্ধার ও অভিযুক্ত ওই নারীর সন্ধান করতে পারেনি পুলিশ।
নবজাতকটি জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা ইউনিয়নের মহিষডাঙ্গা গ্রামের মাহফুজুর রহমান পলাশ ও হাসনা হেনা শিল্পী নামে এক দম্পতির প্রথম সন্তান। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গৃহবধূ হাসনা হেনা শিল্পী গত বুধবার (৭ জুন) সন্তান প্রসবের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে ভর্তি হন।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুর ১২টার দিকে তিনি একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। নবজাতকটি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত থাকায় কিছু সময়ের মধ্যেই তাকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে নিয়ে ভর্তি করা হয়। শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হলেও নবজাতকটি গাইনি ওয়ার্ডের ৯ নম্বর বেডে তার মায়ের সঙ্গেই ছিল।
শুক্রবার (৯ জুন) সকালে হাসনা হেনা শিল্পীর সঙ্গে তার শাশুড়ি খায়রুন নাহারকে রেখে অন্যরা বাড়ি চলে যায়। এই সুযোগে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ৯ নম্বর বেড থেকে সেবিকার পোশাক পরা মধ্য বয়সী এক নারী নবজাতকটি হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে নিয়ে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলে দাদির কাছ থেকে নিয়ে যায়।
প্রায় সাথে সাথেই নবজাতকের দাদি খায়রুন নাহার শিশু ওয়ার্ডে ছুটে গিয়ে ঐ নারী ও তার নাতনিকে আর খুঁজে পায়নি। এসময় তার চিৎকারে হাসপাতালের লোকজন একত্র করেন।
নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আবু সাঈদ সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গেই তারা নাটোর থানা পুলিশকে জানিয়েছেন।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিক তারা সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ওই নারীকে আটক এবং শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছেন। আশা করছেন খুব তাড়াতাড়ি তারা শিশুটিকে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতে পারবেন।
হাসপাতালের সিসি টিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা গেছে সকাল ১১টা ৩৬ মিনিটে সেবিকার পোশাক পরা মধ্য বয়সী ঐ নারী নবজাতকটিকে কোলে নিয়ে সোজা হাসপাতালের মেইন গেট দিয়ে বের হয়ে একটি অটোরিকশা নিয়ে বাহিরে চলে যায়।