fbpx

নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালে রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিচ্ছে, তার মধ্যেও দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।

রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনে মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সভায় যুক্ত হন সরকারপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার আওতার মধ্যে যাতে থাকে সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। তার জন্য যা যা করণীয় সেটা আমরা করবো।

তিনি এসময় যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশবাসীকে আরও খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায় আগামী বছরে একটি গভীর সংকটের আশঙ্কা করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। এটি এখন আমাদের জন্য অনিবার্য এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।’

শেখ হাসিনা করোনা মহামারি থেকে ঘুরে না দাঁড়াতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে যে মন্দা দেখা দিয়েছে, সে বিষয়ে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, ঝড়ঝাপ্টা এগুলো আমাদের আছেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ, এগুলো আমাদের সবসময় মোকাবিলা করতে হয়, করতে হবে। সেটা আমরা করতে পারবো। যতক্ষণ জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে, জনগণই হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। জনগণ যতক্ষণ আমাদের সঙ্গে আছে, আমাদের চিন্তার কিছু নেই।

যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর সাম্প্রতিক সফরের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধান, সরকার প্রধান এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা করেছেন, বিশেষ করে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায়, যেখানে সকলেই অত্যন্ত উদ্বিগ্ন এবং আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, ২০২৩ সালে একটি গুরুতর দুর্ভিক্ষ হতে পারে যখন অর্থনৈতিক মন্দা আরও গভীর হবে এবং খাদ্য সংকট দেখা দেবে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে অনেক দেশে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। ‘সুতরাং, আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে এবং খাদ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সেই সাথে খাদ্যকে প্রক্রিয়াজাতকরণের বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।’

জনগণের সম্মিলিত শক্তিকে কাজে লাগানোর তাগিদ দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে সেই জনগণকে কাজে লাগাতে হবে। যেভাবে আমরা করোনা মোকাবিলা করেছি, ঠিক সেই একইভাবে যুদ্ধের সময় যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে, যে ভয়াবহতা দেখা দিচ্ছে, এটা থেকে আমাদের দেশকে মুক্ত করতে হবে।

সূত্র: বাসস

Advertisement
Share.

Leave A Reply