fbpx

নিপুণের ‘বেআইনী’ চিঠির জবাব দিলেন জায়েদ খান!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২০২৪ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২২ সালের ২৮ জানুয়ারি। এতে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তবে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। পদটি নিয়ে জায়েদ খান ও নিপুণের মধ্যে কোর্ট-কাচারিও হয়েছে। এদিকে, অভিনেতা রুবেল ও অভিনেত্রী সুচরিতার সদস্যপদ স্থগিত করেছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। খবর রটেছে, জায়েদ খানের সদস্য পদও স্থগিত হতে পারে। নির্বাচনের এক বছর পার হলেও এখনও চূড়ান্ত কোনও সুরাহা হয়নি। তবে থেমে থেমেই দমকা হাওয়ার মতো নতুন প্রসঙ্গে ইন্ডাস্ট্রি গরম করে চলেছেন তারা।

পদটি নিয়ে আদালতের চূড়ান্ত রায় না এলেও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নানাবিধ দায়িত্ব পালন করছেন নিপুণ। সেই দায়িত্ব বলে তিনি জায়েদ খানের সদস্যপদ স্থগিতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। গেলো ২২ ফেব্রুয়ারি লিখিত নোটিশ পাঠানো হয় জায়েদের ঠিকানায়। যেখানে বলা হয়, নিপুণকে নিয়ে ‘মানহানিকর’ বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। এ কারণে সমিতির গঠনতন্ত্রের ৭(ক) ধারা মোতাবেক তার সদস্যপদ স্থগিতের কথা ভাবছে সংগঠন। বিষয়টি নিয়ে আজ রবিবার (২ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগেই নিপুণকে লিখিত জবাব দিলেন জায়েদ খান। রবিবার (২ এপ্রিল) সকালে শিল্পী সমিতির বরাবর পাঠানো হয়েছে জায়েদ খানের নোটিশ।

এ নোটিশে নিপুণের নোটিশকে ‘বেআইনি’ বলে দাবি করেছেন জায়েদ খান। শুধু তাই নয়, এমন নোটিশ প্রদানকে ‘সর্বোচ্চ আদালত অবমাননা’ বলেও মনে করেন তিনি।

জায়েদ খান তার জবাবে জানান, তিনি পেশাগত কাজে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশের বাইরে গিয়েছিলেন। ফিরেছেন গত ৬ মার্চ। কিন্তু এর ফাঁকে ২২ ফেব্রুয়ারি তার ঠিকানায় ‘অবৈধ’ নোটিশটি পাঠানো হয়। যা আরও অনেক পরে, ৩১ মার্চ হাতে পান বলে দাবি এ নায়কের।

হাই কোর্ট নয়, নিপুণকে সুপ্রিম কোর্ট দেখিয়ে জায়েদ খান বলেছেন, “সাধারণ সম্পাদক পদটির বৈধতা নিয়ে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আপনার নিজেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক দাবি করে উক্ত নোটিশ ইস্যু করা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবমাননার সামিল। বিচারাধীন মামলাটি ‘ফ্রাস্ট্রেট’ করার অসৎ উদ্দেশ্যে উক্ত ২২ ফেব্রুয়ারি নোটিশটি ইস্যু করা হয়েছে। আমার সদস্যপদ নিয়ে যে কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত অবমাননার সামিল। উক্ত অবৈধ নোটিশের প্রেক্ষিতে গৃহীত যে কোনও ধরনের অবৈধ কার্যকলাপের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলে দেশের সর্বোচ্চ আদালত অবমাননার জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন।’

অভিযোগ নিয়ে জায়েদের ব্যাখ্যা, ‘সংগঠনের উদ্দেশ্যাবলীর পরিপন্থী, স্বার্থের বিরুদ্ধে বা অবমাননাকর কোনও কার্যের সঙ্গে আমি কখনও সম্পৃক্ত ছিলাম না বিধায় তথাকথিত ২২ ফেব্রুয়ারি তারিখের কারণ দর্শানোর নোটিশটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং বেআইনি।’

চিঠির শেষ অংশে নিপুণকে ‘বিতর্কিত, অবৈধ, মানহানিকর ও আদালত অবমাননাকর’ কোনও কার্যক্রম গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন জায়েদ খান। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন সংগঠনটির জায়েদ খান।

আর চিঠির শুরুতে ‘বরাবর নিপুণ আক্তার’ লিখলেও, পদের স্থলে সচেতন জায়েদ খান উল্লেখ করেছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ‘আর্টিস্ট রুম’-এর একজন হিসেবে!

Advertisement
Share.

Leave A Reply