fbpx

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কাউকে আলোচনার জন্য ডাকা হচ্ছে না: সেতুমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কাউকে আলোচনার জন্য ডাকা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সোমবার (৬ মার্চ) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে কোনও আলোচনা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা যা করি প্রকাশ্যে করি। গণতন্ত্রে ব্যাকডোরে আলোচনা হয় না। আলোচনা হলে প্রকাশ্যেই হবে। তবে সেই সুযোগ এখনও দেখছি না। আমরা কাউকে আলোচনার জন্য ডাকছি না। নির্বাচনকে সামনে রেখে এ ধরনের সংকট আমাদের দেশে নতুন নয়। কালো মেঘ ঘনীভূত হলেও তা কেটে গেছে। আমি আশাবাদী মানুষ। আমি মনে করি এ সংকট কেটে যাবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র আছে, নির্বাচন আছে। সরকার আছে, বিরোধী দল আছে। কিন্তু বাংলাদেশে এমন কিছু ঘটেনি যার জন্য যে সংবিধান আছে সেই সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। কোনও প্রকার বিকল্প প্রস্তাব কারও অনুকূলে সমর্থন করার সুযোগ নেই। আমরা কোনও পরিস্থিতিতে সংবিধানের প্রশ্নে ছাড় দেবো না। সংবিধানের মধ্যেই সমাধান খুঁজতে হবে। এর বাইরে কোনও প্রস্তাব আমরা গ্রহণ করবো না। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবে এখানেও হবে। নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দেওয়া হবে। তখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে পরিচালিত হবে। সংবিধানের মধ্যে থেকে তারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন। সংবিধান পরিবর্তন করে নির্বাচন করতে হবে, সেই সংকটে আমরা পড়িনি।’

সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তাদের অবস্থানটা কী? তাদের অবস্থান ক্ষমতায় যাওয়া না। তাদের অবস্থান শেখ হাসিনাকে হটানো। ক্ষমতায় যাওয়া তাদের লক্ষ্য নয়। বিএনপির লক্ষ্যে একটাই, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে হটানো।’

বিএনপির আন্দোলন ও অর্থনৈতিক সংকট কোনটিকে বড় চ্যালেঞ্জ মনে করেন- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন বাস্তবে যত গর্জে ততটা বর্ষে না। কারণ, তারা ছিল একটি গণঅভ্যুত্থানের আশায়। সেখান থেকে নেমে এলো নীরব পদযাত্রা। এখন তারা সেখান থেকে নিঃশব্দ মানববন্ধনে নেমে এসেছে। তাদের আন্দোলনের গতি দেখলে বোঝা যায় তারা যতটুকু জনগণের অংশগ্রহণ আশা করেছিল তা হয়নি। জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া কোনও গণআন্দোলন সম্ভব না। তাদের নেতাকর্মীদের দিয়ে মূলত আন্দোলন ছিল, সেটিও এখন কমে গেছে। তাদের আন্দোলনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি না। তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবো।’

তিনি বলেন, ‘তারা ৭১-এর চেতনাবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি, তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন। বিএনপির আন্দোলন মানেই আগুন সন্ত্রাস, মানুষ পুড়িয়ে মারা, ভূমি অফিস পুড়িয়ে ফেলা। এসব বিএনপির আন্দোলন। আমরা মাঠে না থাকলে তারা এটা করবে না তার গ্যারান্টি নেই। আমরা ক্ষমতায়, আমাদের রাস্তায় থাকতে হবে। জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব আমাদের। তারা ক্ষমতায় থাকতে আমাদের দাঁড়াতেই দেয়নি। আর রাস্তায় ফখরুল সাহেবরা বের হচ্ছেন, কর্মসূচি পালন করছেন, আমাদের কেউ তো কিছু বলছে না। আমাদের মতো তিক্ত অভিজ্ঞতা তো তাদের হচ্ছে না।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply