fbpx

নুন আনতে পান্তা ফুরোচ্ছে মধ্যবিত্তদের

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

কাঁচাবাজারে স্বস্তি মিলছে না কোনো পণ্যেই। বেশিরভাগ পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। যা কিনতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য কিনতে সীমিত আয়ের মানুষ, নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্তরা পড়েছেন বিপাকে।

শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, দাম বেড়েছে চিনি,ডাল, আটা, ও মুরগির। কোনো কোনো বাজার থেকে আবার সয়াবিন তেল উধাও হয়ে গেছে। এছাড়া বাজারে অপরিবর্তিত আছে অন্য সব পণ্যের দাম।

বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১১০-১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেট চিনি কেজি ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আটার দামও আগের চেয়ে বেড়েছে। খোলা আটার কেজি ৬০-৬২ টাকা ও প্যাকেট আটার কেজি ৬৫-৬৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দেশি মসুরের ডালের দাম কেজিতে বেড়ে ১০ বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে মসুরের ডালের কেজি ছিল ১১০-১২০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা।

বিক্রেতারা জানান, হঠাৎ করেই সব পণ্যের দাম বেড়েছে। শোনা যাচ্ছে আরও বাড়বে। বাজারে ডালের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।

বাজারে লবণের কেজি ৩৮-৪০ টাকা ও ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৮ টাকায়।

এদিকে আবারও নিয়ন্ত্রণের বাইরে সয়াবিন তেলের বাজার। বেশিরভাগ মুদির দোকানে এই পণ্যের দেখা মিলছে না। আর দেখা মিললেও চড়াও দামে তা বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে তিন দফা তেলের দাম বেড়েছে। ভিন্ন ভিন্ন সময়ের তেলগুলো ভিন্ন ভিন্ন রেটের। একেক দোকান একেক দামে এসব তেল কেনায় বিক্রিও করতে হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন দামে। এটিই দামে তারতম্যের কারণ।

বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে ফার্মের মুরগির ডিম। ফার্মের লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকা। আগের দামে হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯৫-২০০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২২০-২২৫ টাকা।

মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংসের কেজি ৬৮০-৭০০ খাসি মাংস ৮৫০-৯০০ টাকা কেজি।

তবে বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩১০-৩২০ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩১০ টাকায়।

বাজারে সবজি আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। আলুর কেজি ৩০-৪০ টাকা, আকার ভেদে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা, শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা, লম্বা বেগুনের কেজি ৯০ টাকা, গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজিতে। টমেটো ১৬০, শিম ১২০-১৩০, করলা ৯০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

এছাড়া চালকুমড়া প্রতিটি ৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৭০, কচুর লতি ৮০, পেঁপে ৫০, বরবটি ৮০ টাকা কেজি।

এইসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায় ও লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা।

বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকা, রসুনের কেজি ১৩০-১৪০ টাকা ও আদা ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply