আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিতে যাচ্ছে ফিনল্যান্ড। মঙ্গলবার দেশটি ৩১তম সদস্য হিসেবে ন্যাটো জোটভুক্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
গেল ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করলে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়া ফিনল্যান্ড। সে বছর মে মাসেই ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করে। রাশিয়ার সঙ্গে ফিনল্যান্ডের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে।
ফিনল্যান্ডের সঙ্গে নর্ডিক আরেক দেশ সুইডেনও ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করেছে। কিন্তু তুরস্কের আপত্তিতে এখনও সুইডেন ন্যাটোর সদস্যপদ পায় নি।
মঙ্গলবার ফিনল্যান্ডের আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটোতে যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে ব্রাসেলসে জোটের মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘‘আমরা প্রথমবারের মত ন্যাটোর সদরদপ্তরে ফিনিস পতাকা ওড়াবো। ফিনল্যান্ডের নিরাপত্তা, নর্ডিক নিরাপত্তা এবং সামগ্রিকভাবে ন্যাটোর জন্য এটি একটি দারুণ ভালো দিন হবে।”
এর ফলে সুইডেনও নিরাপদ হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ফিনল্যান্ডের জনগণ আগে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহী ছিল না। কিন্তু ইউক্রেনে রুশ হামলার পর রাতারাতি ওই পরিস্থিতি বদলে যায়; ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পক্ষে জনসমর্থন এক তৃতীয়াংশ থেকে বেড়ে এক লাফে প্রায় ৮০ শতাংশে পৌঁছে যায় বলে সে সময় দেশটির নাগরিকদের মধ্যে হওয়া বেশ কয়েকটি জনমত জরিপে দেখা যায়।
ন্যাটোর অন্যতম প্রতিষ্ঠাকালীন নীতি হচ্ছে, সম্মিলিত প্রতিরক্ষা নীতি। এর অর্থ হচ্ছে, জোটের কোনো দেশের ওপর হামলা, জোটের সব দেশের ওপর হামলা বলেই বিবেচিত হবে। ফিনল্যান্ডের এই ন্যাটোভুক্তিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য বড় কৌশলগত পরাজয় হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
ন্যাটোতে থাকলে রুশ হামলার সম্ভাবনা কম, এই ধারণা থেকেই ফিনল্যান্ড জোটভুক্ত হওয়ার পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অনুমান বিবিসির।