পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে আগামী ২৫ জুন। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে দেশের সবচেয়ে বড় এই সেতুতে হেঁটে বা সাইকেল চালিয়ে পাড়ি দেয়ার কোনো সুযোগ থাকছে না।
এরইমধ্যে পদ্মা সেতুতে গাড়ি পারাপারে টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি কোন ধরনের গাড়ি এ সেতুতে চলাচল করতে পারবে তাও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে সরকার।
সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সেতুতে ১৩ ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে। তবে বাইসাইকেল, নসিমন, করিমন, ভটভটি ও সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করতে পারবে না।
এছাড়া পায়ে হেঁটে সেতু পার হওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলেও সংবাদ মাধ্যমকে জানান পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সেতু ও সড়ক) শাহ মো. মুসা । কেউ সাইকেল নিয়েও পার হতে পারবে না। সেতুর উপর দিয়ে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারবে, এবং টোল কত দিতে হবে সে বিষয়ে আগেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
কেন পায়ে হেঁটে চলাচল করা যাবে না, এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন সেতু প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী। কারণ হিসেবে বলেছেন, সেতুর উপর দিয়ে দ্রুত গতিতে যানবাহন চলবে। কেউ যদি পায়ে হেঁটে যায় বা স্লো মুভিং কিছু যায়, তাহলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এসব কথা বিবেচনা করেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে মোটরসাইকেলে ১০০ টাকা, কার বা জিপে ৭৫০ টাকা, পিকআপ ভ্যানে ১ হাজার ২০০ টাকা, মাইক্রোবাসে ১ হাজার ৩০০ টাকা, ছোট বাসে (৩১ আসন বা এর কম) ১ হাজার ৪০০ টাকা, মাঝারি বাসে (৩২ আসন বা এর বেশি) ২ হাজার টাকা, বড় বাসে (৩ এক্সেল) ২ হাজার ৪০০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া, ছোট ট্রাকে (৫ টন পর্যন্ত) ১ হাজার ৬০০ টাকা, মাঝারি ট্রাকে (৫ টনের বেশি থেকে ৮ টন) ২ হাজার ১০০ টাকা, মাঝারি ট্রাক (৮ টনের বেশি থেকে ১১ টন পর্যন্ত) ২ হাজার ৮০০ টাকা, ট্রাক (৩ এক্সেল পর্যন্ত) ৫ হাজার ৫০০ টাকা, ট্রেইলার (৪ এক্সেল পর্যন্ত) ৬ হাজার টাকা ও ট্রেইলার (৪ এক্সেলের বেশি) ৬ হাজারের সঙ্গে প্রতি এক্সেলে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে যোগ করে টোল দিতে হবে।