পদ্মা সেতু পার হতে কোন্ যানবাহনকে কত টোল দিতে হিবে, তা নির্ধারন করেছে সরকার।
মঙ্গলবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পরিবহনের জন্য আলাদা আলাদা টোলের হার নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নদী পারাপারে যানবাহনভেদে টোল ঠিক করা হয়েছে সর্বনিম্ন একশ টাকা থেকে ছয় হাজার টাকার বেশি।
গত ২৮ এপ্রিল পদ্মা সেতুর জন্য টোলের হার প্রস্তাব করে অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠায় সেতু মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অনুমোদনের পর সেটি প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়।
সেতু বিভাগ থেকে যে টোলের হার প্রস্তাব করা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর তা হুবহু অনুমোদন দিয়েছে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।
সরকারের নির্ধারণ করা টোলের হার অনুসারে, বর্তমানে ফেরিতে পদ্মা নদী পার হতে যে টাকা লাগে, সেতু পার হতে এর চেয়ে গড়ে দেড় গুণ বেশি টাকা খরচ করতে হবে। আর দ্বিতীয় দীর্ঘতম বঙ্গবন্ধু সেতুর টোলের সঙ্গে তুলনা করলে তা হবে প্রায় দ্বিগুণ।
এতে বলা হয়, পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে মোটর সাইকেলকে দিতে হবে ১০০ টাকা। ফেরিতে এই খরচ ৭০ টাকা। প্রাইভেট কার ও সাধারণ জিপে টোল ঠিক করা হয়েছে ৭৫০ টাকা।
পিকআপ ও বিলাসবহুল জিপ পারাপারে ১২০০ টাকা, মাইক্রোবাস পারাপারে ১৩০০ টাকা, ৩১ আসন বা এর কম আসনের ছোট বাসের জন্য ১৪০০ টাকা ও মাঝারি বাসের টোল দুই হাজার টাকা ধরা হয়েছে।
বড় বাসে ২৪০০ টাকা, ৫ টনের ট্রাকে ১৬০০ টাকা, পাঁচ টন থেকে আট টনের মাঝারি ট্রাকে ২১০০ টাকা, আট টন থেকে ১১ টনের মাঝারি ট্রাকে ২৮০০ টাকা, থ্রি এক্সেলের ট্রাক পারাপারে টোল ঠিক করা হয়েছে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা।
এছাড়া মালবাহী ট্রেইলারের (চার এক্সেল) ছয় হাজার টাকা, চার এক্সেলের ওপরে মালবাহী ট্রেইলারের জন্য প্রতি এক্সেলে দেড় হাজার টাকা যোগ হবে।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের মূল সেতু ছাড়াও ৩ দশমিক ৬৮ কিলোমিটারের ভায়াডাক্ট বা সংযোগ সেতু মিলিয়ে সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার।
পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলা সড়কপথে সরাসরি সারা দেশের সঙ্গে যুক্ত হবে। আগেই ঢাকা-ভাঙ্গা পথে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের ফলে এই পথে যাতায়াতের সময় কমে এক ঘণ্টায় নেমে আসবে বলে সওজের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।