পরীক্ষা না হলেও বোর্ড থেকে শ্রেণির মূল্যায়নের ভিত্তিতে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার্থীরা সার্টিফিকেট পাবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অপরদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষার্থীরা নিজ বিদ্যালয় থেকে সার্টিফিকেট পাবে বলেও জানানো হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ড, ঢাকার সচিব অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, জেএসসি-জেডিসি শিক্ষার্থীদের ডাটাবেজ তৈরি হয়ে গেছে। এখন তাদের ফরম ফিলাপ করা হবে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে। এ ফরম ফিলাপের পর বছর শেষে তাদের সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। তবে সার্টিফিকেটে কোনো ডিভিশন/শ্রেণি বা জিপিএ উল্লেখ থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা না হওয়ায় তাদের দেওয়া হবে উত্তীর্ণের সার্টিফিকেট। তারা উত্তীর্ণ হয়েছে, শুধু এটাই সার্টিফিকেটে লেখা থাকবে।
এর আগে, মঙ্গলবার রাজধানীর গণভবন উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, এ বছর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা হবে না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এখন এসএসসি এবং এইচএসসি একেবারে সামনে। আমাদের সব প্রস্তুতি আছে জেএসসি নেবার। এখন আর জেএসসি নেবার আমাদের খুব সুযোগ থাকছে বলে মনে হয় না। কিন্তু, ক্লাস সমাপনী যে পরীক্ষা, সেটা হবে। সব শ্রেণির মতো পঞ্চম শ্রেণি এবং অষ্টম শ্রেণিতেও ক্লাস সমাপনী পরীক্ষা হবে। প্রত্যেক শ্রেণির মূল্যায়নগুলোও হবে।‘
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে করোনা মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে দফায় দফায় বন্ধ বাড়িয়ে প্রায় দেড় বছর পর চলতি মাসের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়। এ কারণে গত বছর জেএসসি-জেডিসি এবং প্রাথমিক সমাপনীর বদলে শ্রেণিকক্ষে মূল্যায়ন করে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে তুলে দেওয়া হয়।