fbpx

পশ্চিমা দেশগুলোকে লেকচার দেওয়া বন্ধ করতে বললেন গিনির জান্তা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

গণতন্ত্র নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোকে লেকচার দেওয়া বন্ধ করতে বলেছেন পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনির জান্তা শাসক কর্নেল মামাদি ডুমবুইয়া। তার দাবি, পশ্চিমাদের চাপিয়ে দেওয়া গণতান্ত্রিক মডেল আফ্রিকার দেশগুলোতে কাজ করে না। এমনকি নিজের দেশে সামরিক হস্তক্ষেপের পক্ষেও কথা বলেন তিনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে ভাষণ দেন গিনির জান্তা নেতা কর্নেল মামাদি ডুমবুইয়া। সেসময় তিনি বলেন, পশ্চিমাদের চাপিয়ে দেওয়া শাসন মডেলের কারণে আফ্রিকা মহাদেশ ভুগছে। এর ফলে আমরা আফ্রিকানরা বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারছি না।

তিনি আরো বলেন, এখন সময় এসেছে, আফ্রিকানদের উদ্দেশে লেকচার দেওয়া বন্ধ করার ও আমাদের সঙ্গে শিশুর মতো অবজ্ঞাসুলভ আচরণ না করার। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির তত্কালীন প্রেসিডেন্ট আলফা কনডেকে ক্ষমতাচ্যুত করেন ও নিজে ক্ষমতা গ্রহণ করেন কর্নেল ডুমবুইয়া। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের অধিবেশনে তার এ পদক্ষেপের পক্ষেও কথা বলেন তিনি। তার দাবি, গিনিকে বিশৃঙ্খলা থেকে বাঁচাতেই সামরিক অভ্যুত্থান করা হয়েছিল।

জানা যায়, দুই বছর আগে সামরিক অভ্যুত্থানের খবরে গিনির রাজধানী কোনাক্রিতে উত্তেজিত জনতা সেনাবাহিনীকে স্বাগত জানিয়েছিল। কারণ প্রেসিডেন্ট কনডেকে ক্ষমতাচ্যুত করায় অনেকেই স্বস্তি পেয়েছিল। কিন্তু আঞ্চলিক নেতারা গিনিকে বেসামরিক শাসনে ফিরে আসার আহ্বান জানায় ও সামরিক বাহিনীর দখলের কারণে আঞ্চলিক জোট ইকোওয়াসে দেশটির সদস্যপদ স্থগিত করা হয়। গত বছর কর্নেল ডুমবুইয়া ইকোওয়াসের সঙ্গে আলোচনার পর নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য একটি সময়সূচি ঘোষণা করেন। কিন্তু তার পরও দেশটিতে নির্বাচন আয়োজনের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গিনিসহ মালি, বুরকিনা ফাসো, নাইজার ও গ্যাবনের মতো পশ্চিম-মধ্য আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে সেনা অভ্যুত্থান ঘটেছে। আর সবগুলো অভ্যুত্থানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইকোওয়াস, আফ্রিকান ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ।

Advertisement
Share.

Leave A Reply