fbpx

বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত: ড. আবান্তিকা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজমান। এখানে সকল ধর্মের মানুষ একত্রিত হয়ে আদিকাল থেকেই যার যার ধর্ম পালন করে আসছে। দ্য গ্লোবাল ভিলেজ স্পেস’ পত্রিকায় গত ১৫ জুন এমটাই লিখেছেন ভারতের উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদ কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারি অধ্যাপক এবং দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক রাজনৈতিক গবেষক ড. আবান্তিকা কুমারী। তিনি লিখেন, বাংলাদেশে মুসলমানরা মোট জনসংখ্যার ৯০%, তবে, হিন্দু, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টানরাও শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করছে।

বর্তমানে বাংলাদেশে ১৬০ মিলিয়ন মানুষ বসবাস করে, যারা বহু-ধর্মীয়, বহু-জাতিক এবং বহুভাষিক। বাংলাদেশের সংবিধান সকল নাগরিককে স্বাধীনভাবে এবং শান্তিপূর্ণভাবে তাদের নির্বাচিত ধর্ম পালনের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দিয়েছে। সম্ভাব্য অনুমান অনুসারে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যার প্রায় ১২%। এর মধ্যে হিন্দুরা জনসংখ্যার ১০%, বৌদ্ধরা ১%, খ্রিস্টানরা ০.৫০% এবং জাতিগত সংখ্যালঘুরা ১% এরও কম।

ড. আবান্তিকা তার নিবন্ধে লিখেছেন, বিভিন্ন ধর্মের মানুষ কীভাবে একসাথে বসবাস করতে পারে, সহযোগিতা করতে পারে তার বাস্তব উদাহরণ বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যে দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি এবং সহনশীলতার মূল্য দেয়া হয়। বাংলাদেশের জনসংখ্যা ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং জাতিগত গোষ্ঠীর বিভিন্ন বৈচিত্র্য দ্বারা গঠিত। এই ধরনের সম্প্রদায় এবং গোষ্ঠীগুলো সম্প্রীতিতে বাস করে। তাদের পার্থক্যকে দূরে রেখে ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতিকে আলিঙ্গন করতে এবং সম্মান করতে শেখে যা বাংলাদেশের সমতায় অবদান রেখেছে।

তিনি লিখেছেন, অটুট সামাজিক ও ধর্মীয় শান্তির দেশ হিসেবে বাংলাদেশ একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। এই দেশটি তাদের মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গি নির্বিশেষে সবার মধ্যে সহনশীলতা এবং শ্রদ্ধার সমৃদ্ধ সংস্কৃতির কারণে সামাজিক সম্প্রীতির উদাহরণ। তাদের উদার মনোভাব জাতির সমন্বয়ে অবদান রেখেছে।

তিনি আরও লিখেন, এখানে হাজার হাজার বছর ধরে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে তা যে কোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে।

ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টান এই চারটি ধর্ম এই দেশের প্রধান ধর্ম। মুসলমানরা জনসংখ্যার প্রায় ৮৮.৩ শতাংশ। বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানরা সুন্নি; যদিও শিয়া মুসলমানরা মুসলিম জনসংখ্যার প্রায় ৩%। জনসংখ্যার প্রায় ১০% শতাংশ হিন্দু। বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানরা অন্যদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ। দুর্গাপূজা হিন্দুরা পালন করে, ক্রিসমাস পালন করে খ্রিস্টান এবং বৌদ্ধরা পালন করে বুদ্ধ পূর্ণিমা, অন্যান্য সম্প্রদায় পালন করে অন্যান্য ছুটি। এই উদযাপনগুলো কেবল ধর্মের ছাপই নয়, সমাজ ও জাতির ছাপও প্রতিফলিত করে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের স্লোগান ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।’ তার ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধের সাক্ষ্য হিসাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এটি একটি নজির স্থাপন করেছে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।  তথ্য সূত্র বাসস…

Advertisement
Share.

Leave A Reply