ক্রমেই অবনতি হচ্ছে পাকিস্তানে মৌসুমী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি। দেশটির ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরটি (এনডিএমএ) জানিয়েছে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা মৌসুমী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালসহ পাকিস্তানের একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, গত ২৫ জুন থেকে শুরু হওয়া ভারি বর্ষণ এখনো অব্যাহত।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন অন্তত ৬ জন। এর মধ্যে ৩ জন সিন্ধ প্রদেশের এবং বাকি ৩ জন পাঞ্জাবের। এই সময়ের মধ্যে আরও অন্তত ৯ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তবে সবমিলিয়ে দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে ৮৬ জন মারা গেছেন।
বন্যায় পাকিস্তানের পাঞ্জাবেই মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। প্রদেশটিতে মারা গেছেন ৫২ জন। এরপর সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন খাইবার পাখতুনখোয়ায়। এ প্রদেশটিতে মৃতের সংখ্যা ২০ । এর বাইরে বেলুচিস্তানে ৬, সিন্ধে ৫ এবং আজাদ কাশ্মীরে তিনজন মারা গেছেন।
এদিকে, পাকিস্তানে মৌসুমী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় সবচেয়ে বেশি ঝুকিতে রয়েছে শিশুরা। কারণ প্রাণ হারানো ৮৬ জনের মধ্যে রয়েছে ৩৭ শিশু।
এনডিএমএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত ১৫১ জন নানাভাবে আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫৬ জন পুরুষ, ৪৩ জন নারী এবং ৫২ শিশু। এছাড়া বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ৯৭টি ঘর ভেসে গেছে।
এনডিএমএ কর্তৃপক্ষ বন্যার পূর্বাভাসে বলেছে, রাভি নদীর তীরবর্তী জাসার জেলায় বন্যার উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। পাশাপাশি চেনাব নদীর অববাহিকায়ও বন্যার মধ্যম মাত্রার ঝুঁকি রয়েছে।