গত কয়েকমাস ধরেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নতুন পাসপোর্ট পেতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা। মধ্যপ্রাচ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ প্রায় সব দেশেই প্রবাসীরা এ সমস্যায় পড়েছেন। তারমধ্যে, ঢাকায় পাসপোর্ট অধিদফতরের সার্ভারের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাময়িকভাবে প্রবাসীদের জন্য পাসপোর্ট সেবা বন্ধ রয়েছে। যা আগামী তিন দিনের মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, মেশিন রিডেবল (এমআরপি) পাসপোর্টের কাজটি পেয়েছিল মালয়েশীয় প্রতিষ্ঠান আইরিস করপোরেশন। তাদের সাথে চুক্তি ছিল তিন কোটি পাসপোর্টের। তবে, সম্প্রতি তিন কোটি আবেদনপত্রের সীমা অতিক্রম করায় এমআরপি সার্ভারের ওপর চাপ বেড়েছে। এর ফলে, নতুন করে আর পাসপোর্ট ছাপা যাচ্ছিল না। সেক্ষেত্রে, সার্ভারের ত্রুটির কথা উল্লেখ করে কুয়েত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, লেবানন, সিঙ্গাপুরসহ কয়েকটি দেশের পাসপোর্ট সেবা সাময়িক বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় সেখানকার হাইকমিশন।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগের (ডিআইপি) মহাপরিচালক (ডিআইজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব চৌধুরী এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানান, এমআরপি ব্যবস্থাকে সময়ে সময়ে আপগ্রেড করার প্রয়োজন হয়। এরইমধ্যে, সার্ভার আপগ্রেড করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট মালয়েশিয়ান প্রতিষ্ঠানটির সাথেও চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে।
পাসপোর্ট অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, করোনা কারণে বিভিন্ন দেশে ই-পাসপোর্টের মেশিন বসাতে না পারায় এখন বাড়তি সময় এমআরপি দিয়ে কার্যক্রম চালাতে হবে। তাই ধারণক্ষমতার বেশি পাসপোর্ট ইস্যুর আবেদন পড়ায় নতুন করে প্রিন্ট করা যাচ্ছে না।
তারা আশ্বাস দিয়ে বলেন, সঙ্কট সমাধানে আবারও আইরিস করপোরেশনের সাথে আরও ৬০ লাখ এমআরপির বিষয়ে চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখন আশা করা যাচ্ছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন অনুবিভাগ) মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে জানান, এটি একটি টেকনিক্যাল সমস্যা ছিল। যা এরইমধ্যে সমাধান হয়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনের কিছু কিছু জায়গা থেকে পাসপোর্ট প্রিন্ট শুরু হয়ে গেছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে অন্যান্য জায়গায়ও প্রিন্ট করা সম্ভব হবে। এরইমধ্যে, ধারণক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় প্রবাসীরা পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন বলেও জানান তিনি।
