fbpx

পেটেন্টের মেয়াদ বাড়ল ৪ বছর, সংসদে পাস হলো বিল

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

চার বছর মেয়াদ বাড়িয়ে জাতীয় সংসদে পাস হলো ‘বাংলাদেশ পেটেন্ট বিল-২০২১’। ফলে পেটেন্টধারী ব্যক্তি এখন থেকে ১৬ বছরের পরিবর্তে ২০ বছরের জন্য স্বত্বের মালিক থাকবেন। আর এরপর তা ‘জনগণের’ সম্পদ হয়ে যাবে।

রবিবার শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ‘বাংলাদেশ পেটেন্ট বিল-২০২১’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন। পরে কণ্ঠভোটে এই বিল পাস হয়।

তবে বিলটি পাসের আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটির ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন।

বর্তমানে যে পেটেন্ট ও ডিজাইন আইনটি চালু আছে, সেটি ১৯৯১ সালের। ২০১৬ সালে একে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। একটিকে পেটেন্ট আইন ও অপরটিকে ডিজাইন আইনের খসড়া করা হয়েছিল।

দীর্ঘ পরিক্রমা শেষে গত বছর ১৪ নভেম্বর তা সংসদে তোলা হয়। পরে সেটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

সেখানে বলা হয়, নতুনত্ব ও উদ্ভাবনী বিষয় বিদ্যমান থাকলে প্রযুক্তিগত যে কোনো পণ্য পেটেন্টযোগ্য হবে। তবে আবিষ্কার, বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও গাণিতিক পদ্ধতি, ব্যবসা পদ্ধতি, সম্পূর্ণভাবে মানসিক কাজ সম্পদনের বা খেলাধুলার নিয়মাবলি বা পদ্ধতি এবং এমন কোনো কম্পিউটার প্রোগ্রাম পেটেন্ট সুরক্ষার আওতার বাইরে থাকবে।

এছাড়া জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতা রক্ষার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যবহার রোধ করা প্রয়োজন- এমন উদ্ভাবনসহ আরও বেশ কিছু বিষয় পেটেন্ট সুরক্ষার বাইরে রাখা হয়েছে।

বিলে বলা হয়, যদি কোনো ব্যক্তি এ আইনের কোনো আদেশ পালনে ব্যর্থ হন, তাহলে আদালত ক্ষতিপূরণ ধার্য করতে পারবে। এ আইনের অধীনে সংরক্ষিত কোনো নিবন্ধন বইয়ে মিথ্যা ভুক্তি তৈরি করলে, বা করালে ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

বিলে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে কোনো পণ্যের পেটেন্ট না থাকার পরও কেউ যদি দাবি করেন যে তিনি ওই পেটেন্টধারী, অথবা পেটেন্টের আবেদন করেছেন, তা হলে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে কোনো একটি পেটেন্টের একক বা যৌথ উদ্ভাবনের আবেদন হলে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যৌথ উদ্ভাবকের পেটেন্টের সুরক্ষা দেওয়া হবে।

খসড়া আইনে বলা হয়েছে, কোনো ক্ষেত্রে যদি ‘জেনেটিক রিসোর্সের’ অবৈধ ব্যবহার হয়, সেক্ষেত্রে পেটেন্ট হস্তান্তর করে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে দেওয়া যাবে।

পাশাপাশি এই বিলে পেটেন্ট বাতিল এবং অধিকার কার্যকর করার বিধানও রাখা হয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply