যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সম্ভাব্য তাইওয়ান সফর ঘিরে চীনের তরফ থেকে শক্তি প্রদর্শনের আশঙ্কা করছে দ্বীপ দেশটি। আজই আরো পরের দিকে পেলোসি তাইওয়ানে পৌছাতে পারেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। বৃটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পেলোসির এই সফর, যা হোয়াইট হাউস সমর্থন করেনি বলে জানানো হয়েছে, যদি সত্যিই এটা ঘটে তাহলে সেটি হবে কয়েক দশকের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উচ্চপদস্থ কোন কর্মকর্তার তাইওয়ান সফর।
পেলোসি মার্কিন সরকারের তৃতীয় পদস্থ কর্মকর্তা এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরেই বেইজিংয়ের একজন কট্টর সমালোচক।
চীন বরাবরই পেলোসির এই সফরের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে এবং আজ মঙ্গলবার বলেছে, এর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ‘মূল্য দিতে হবে’।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেন, এই সফরের স্পর্শকাতরতা নিয়ে ওয়াশিংটনের সাথে যোগাযোগ রাখছে বেইজিং।
তিনি বলেন, চীনের সার্বভৌম নিরাপত্তা স্বার্থ অবমূল্যায়ন করার দায় যুক্তরাষ্ট্রকেই নিতে হবে এবং এর জন্য মূল্য দিতে হবে।
আজ মঙ্গলবারই চীনা মূল ভূখন্ড ও তাইওয়ানের অনানুষ্ঠানিক বিভক্তি রেখা তাইওয়ান প্রণালীর মেডিয়ান রেখায় যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে বেইজিং।
চীনের সেনারা তাজা গুলি ছুড়ে মহড়া করছে এবং চীনা সামরিক বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের পোস্ট করা এক অনলাইন ভিডিওতে বলা হয়েছে, “তারা যে কোন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।”
অন্যদিকে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফে বলা হয়েছে, তারা তাদের দ্বীপের কাছাকাছি সামরিক তৎপরতার বিষয়ে অবগত আছেন এবং চীনের যে কোন ধরনের সামরিক হুমকি থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্যও তারা প্রস্তুত।
