fbpx

প্রতিদিন যানজটে ১৪০ কোটি টাকার ক্ষতি : গবেষণা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ঢাকা শহরে আসহনীয় যানজটে অতিষ্ট ঢাকাবাসী। যানজটের কারণে শুধু কর্মঘণ্টাই নষ্ট হচ্ছে না। এর ফলে প্রতিদিন প্রায় ১৪০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, যানজটের কারণে বেশি সময় নষ্ট হওয়ায় পরিবারকে সময় দেওয়া বা অন্যান্য কাজের সময় কমে যাচ্ছে। এছাড়া ঢাকার সড়কে প্রতিদিন ৮০ লাখের বেশি কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। যাকি না ২০১৭ সালে এর হিসেব ছিল দিনে ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা।

রাজধানীতে বেশির ভাগ মানুষই কর্মজীবী, তারা সকাল ৭টা থেকে সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে অফিস বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করেন ও বিকেল ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বাসায় ফেরার তাড়া থাকে ফলে ও সময়টাতে রাজধানীজুড়ে যানজট চরমে পৌঁছায়।

গবেষণায় বলা হয়েছে, ঢাকায় প্রতিদিন স্বল্প ও দীর্ঘ দূরত্বে বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে প্রায় আড়াই কোটি ট্রিপ দেওয়া হয়, যার মধ্যে ৪৪% অফিসগামী যাত্রীরা।

বুয়েটের গবেষকরা আরও বলছেন, ঢাকা শহরে গত কয়েক বছরে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন যানবাহনের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে যার ফলে যানজটের তীব্রতা বেড়েছে।

এ বিষয়ে বুয়েটের দুর্ঘটনা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান জানান, গত ২০১৭ সালেও যানজটের কারণে প্রতিদিন অফিসগামীদের ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হতো, আর এখন তা ছাড়িয়েছে ৮০ লাখে।

তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট সকাল এবং বিকেলের সবচেয়ে ভিড়ের সময় প্রধান সড়কে ট্রাফিক প্রবাহের উপর ভিত্তি করে পরিসংখ্যান করা হয়েছে।

এছাড়া যানজটের আরও একটি কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, যে স্কুলগুলি পুনরায় খোলা এবং করোনাভাইরাস রোধে জারি করা বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পরে যানজট মহামারির আগের সময়ের তুলনায় বেড়েছে।

গবেষকরা বলেছেন, এখন যানবাহন শুক্র এবং শনিবারেও শামুকের গতিতে চলে। যানজট বৃদ্ধির প্রধান কারণ ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি এবং নতুন বাস কম নিবন্ধন হওয়া বলেও জানিয়েছেন তারা।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে নতুন বাসের নিবন্ধন ৩২.৩% কমেছে, একই সময়ে জিপ বিক্রি ৫৫%, প্রাইভেট কার ২৮%  এবং মোটরসাইকেল ২৭ % বেড়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply