fbpx

প্রতি রাতে ধর্ষণের শিকার হতেন বন্দি উইঘুর নারীরা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

চীনের শিনজিয়াংয়ে উইঘুর ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মুসলিমদের জন্য বানানো অন্তরীণ শিবিরগুলোতে নারীরা ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এমন তথ্যই উঠৈ এসেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে।

চীনের কথিত ‘প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে’ নানা রকম হয়রানির কথা তুলে ধরেছেন সেখান থেকে পালিয়ে আসা এক সাবেক বন্দি ও এক প্রহরী।

দীর্ঘ নয় মাস বন্দি শিবিরে আটক ছিলেন তারসানায়া জিয়উদুন নামের এক নারী। বন্দি শিবির থেকে মুক্তির পর যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান ঐ নারী। তিনি জানান বন্দি থাকাকালীন তিনি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনবার। আর প্রতিবারই একাধিক জন মিলে তাকে ধর্ষণ করেছে।

তারসানায়া জানান, কারাগার থেকে প্রত্যেক রাতে নারীদের বের করে নেওয়া হতো। একাধিক পুরুষ মিলে তাদের ধর্ষণ করতো। আর তারা সবাই চীনের। এবং করোনা মহামারী আসার আগে থেকেই তারা মাস্ক পরে থাকতো।

তিনি বলেন ‘সম্ভবত এটা আমার জন্য সবচেয়ে বেশি খারাপ সময়। এ সব আমি মুখেও আনতে পারবো না।’

শিনজিয়াং থেকে আসা কাজাখ নারী গুলজিরা আউয়েল খান। তিনিও শিবিরে বন্দি ছিলেন ১৮ মাস। গুলজিরা বলেন, তাকে উইঘুর নারীদের নগ্ন করতে ও হাতকড়া পরাতে বাধ্য করা হতো। এই নারীদেরকে এই অবস্থাতেই চীনের পুরুষদের কাছে পাঠানো হত।

গুলজিরা আউয়েল খান বলেন, ‘আমার কাজ ছিল নারীদের কাপড় কোমরের ওপর থেকে সরিয়ে ফেলা। হাতকড়া পরানো, যাতে তারা নড়াচড়া করতে না পারে। পরে নারীদেরকে কক্ষে ছেড়ে আসা হতো। আর এক জন পুরুষ সেখানে প্রবেশ করতো।’

তিনি বলেন, কিছু চীনা পুরুষ কিংবা পুলিশ সদস্য এ সময় বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতো। সামনের দরজায় আমি নীরবে বসে থাকতাম। পুরুষটি যখন বের হয়ে যেতো তখন ওই নারীদের গোসলের জন্য নিয়ে যেত হত।

জিয়াউদিন জানান, কিছু নারীকে রাতে তাদের সেল থেকে রেব করে নিয়ে যেতো।  এরা আর ফিরে আসেনি। যাদেরকে ফিরিয়ে আনা হতো তাদেরকে হুমকি দিয়ে বলা হতো, যা ঘটেছে তা যেন কখনোই অন্য বন্দিদের কাছে প্রকাশ না করা হয়।

তিনি বলেন, শিবিরে কী হচ্ছে তা কাউকে বলতে দেয়া হত না। নীরবে সহ্য করা ছাড়া আর কোনো পথ ছিল না এখানে।

এদিকে শিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিম নারীদের ওপর বিবিসির এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর ‘গভীরভাবে উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে শিনজিয়াংয়ে সংঘটিত ‘বর্বরতার জন্য চীনের মারাত্মক পরিণতি ভোগ করা উচিত’ বলেও মন্তব্য করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য দিয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply