fbpx

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখেছেন উচ্চ আদালত।

আজ বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) আদালতে মৃত্যুদণ্ডের এই রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এ সময় আদালতে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি উপলক্ষ্যে এ রায় বাংলায় পাঠ করা হয়। রায়ে ১০ জনের মৃত্যুদন্ডের পাশাপাশি একজনকে যাবজ্জীবন, দুই জনকে ১৪ বছরের সাজা ও একজনকে খালাস করা হয়েছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রায় ঘোষণার এ দিন ধার্য করেন।

আদালতসূত্রে জানা যায়, এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের উপর শুনানি শুরু হয় ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল। যার মূল আসামী ছিলেন হরকাতুল জিহাদের শীর্ষনেতা মুফতি আবদুল হান্নান। পরবর্তীতে, অন্য আরেকটি মামলায় তার ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় মামলা থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়।

এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ১ ফেব্রুয়ারি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মুফতি হান্নান ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে কোটালীপাড়ায় ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা এবং শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য কী ধরনের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল, তার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। সে সময় রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের অপরাধ প্রমাণে যুক্তি প্রমাণ আইন ও বিভিন্ন রেফারেন্স উপস্থাপন করেন।

উল্লেখ্য, ২০০০ সালের ২০ জুলাই কোটালীপাড়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ দেয়ার কথা ছিল শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের মাঠে। সেই মহাবিদ্যালয়ে জনসভার প্যান্ডেল তৈরির সময় উত্তর পাশের একটি চায়ের দোকানের পেছনে শক্তিশালী বোমার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ৭৬ কেজি ওজনের বোমাটি পুঁতে রেখে তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকার এসআই নূর হোসেন আলাদা দু’টি মামলা দায়ের করেন। এরপর ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়ার পর পরবর্তীতে ২০০৯ সালের ২৯ জুন আরও নয়জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

এরপর মামলা দু’টি ঢাকার ২ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয় ২০১০ সালে। ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম রায়ে ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড দেন। রায়ে এদের প্রত্যেককে গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে চার আসামিকে কারাদণ্ড ও অর্থ জরিমানা করা হয়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply