সমাপনী পরীক্ষা বন্ধ থাকায় ১৩ বছর পর বৃত্তি পরীক্ষায় বসেছে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার ফল ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশ হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
জানা গেছে, প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে প্রায় পাঁচ লাখের মতো শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৮২ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়া হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা-২০২২-এর কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে ফলাফল দেয়া হবে। সারাদেশের সব উপজেলায় বৃত্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। খাতার পরিবর্তে বুকলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই পরীক্ষা।’
তিনি আরও বলেন, ‘বুকলেটের নির্ধারিত জায়গায় টিকচিহ্ন এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে লিখে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে। বুকলেটে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান এ চার বিষয়ে ১০০ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর করতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এ পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয় থেকে ২৫ নম্বরের প্রশ্ন এসেছে।’
এর আগে, ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা চালুর পর সেই রেজাল্টের ওপর ভিত্তি করে বৃত্তি দেওয়া শুরু হয়। কিন্তু গত দুই বছর পিইসি পরীক্ষা হয়নি। তবে চলতি বছর আবারও এই পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।