fbpx

প্রয়াত লিলি চৌধুরীকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা বেলা ১১ টায়

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর স্ত্রী নাট্যাভিনেত্রী লিলি চৌধুরী আর নেই। বেতার, মঞ্চ ও টেলিভিশনের একসময়ের ব্যস্ত এই অভিনেত্রীর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। তার পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তার কফিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।

তিনি ছিলেন প্রয়াত সাংবাদিক মিশুক মুনীরের মা।

লিলি চৌধুরীর ছোট ছেলে আসিফ মুনীর তন্ময় জানান, সোমবার (১ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বনানীর বাসায় তার মায়ের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও জানান, আত্মীয়-স্বজনদের দেখার জন্য তার মায়ের মরদেহ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বনানীর বাসায় রাখা হবে।

জোহরের নামাজের পর বনানী কবরস্থানে জানাজা শেষে ছেলে মিশুকের কবরের পাশে দাফন করা হবে লিলি চৌধুরীকে।

১৯২৮ সালের ৩১ আগস্ট টাঙ্গাইলের জাঙ্গালিয়া গ্রামে নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন লিলি। তার পৈত্রিক নাম লিলি মির্জা। কলকাতায় শিক্ষা জীবন শুরু হয় তার। ১৯৪৮ সালে বাবা নূর মোহাম্মদ মির্জা ঢাকায় চলে আসেন। লিলি মির্জার পরিচয় হয় মুনীর চৌধুরীর সঙ্গে।

লিলি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। বাম রাজনীতিতে জড়িত মুনীর ১৯৪৯ সালের মার্চে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান। পাঁচ মাস পর মুনীর মুক্তি পেলে তারা বিয়ে করে ফেলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার সময় ১৯৫২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আবার গ্রেপ্তার হন মুনীর চৌধুরী। সেবার মুক্তি মেলে দুই বছর পর। এর মধ্যেই কারাগারে রচিত হয় ‘কবর’ নাটকটি।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ ভাগে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের এ দেশীয় দোসরদের সহায়তায় শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ হাজারো বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে। ১৪ ডিসেম্বর আলবদর বাহিনী এসে ধরে নিয়ে যায় মুনীর চৌধুরীকে। স্বামীর সঙ্গে সেই লিলির শেষ দেখা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করা লিলিকে সদ্য স্বাধীন দেশে কঠিন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। চাকরির পাশাপাশি অভিনয় করে যান বেতার, মঞ্চ আর টেলিভিশনে।

মুনীর চৌধুরীর শুরু করা টেনেসি উইলিয়ামসের ‘স্ট্রিট কার নেমড ডিজায়ার’ নাটকের অসমাপ্ত অনুবাদের কাজ লিলিই শেষ করেন।

মুনীর চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর পত্রালাপ আর দুজনের লেখা ডায়েরির সঙ্কলন প্রকাশিত হয়েছে ‘দিনপঞ্জি-মনপঞ্জি-ডাকঘর’ শিরোনামে।

কাজের স্বীকৃতি হিসেবে নাট্যকার-নাট্যশিল্পী সংসদ, টেলিভিশন নাট্যশিল্পী নাট্যকার সংসদ ও বাংলাদেশ মানবাধিকার নাট্য পরিষদের সম্মাননা পেয়েছেন লিলি চৌধুরী।

Advertisement
Share.

Leave A Reply