fbpx

ফকির আলমগীরের নামে সড়ক, উদ্বোধন করলেন মেয়র

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ফকির আলমগীরের গান মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করেছিল।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যে দেশের শিল্পীরা গান গেয়ে স্বাধীনতা অর্জনে ভূমিকা রেখেছে। গান আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অংশ ছিলো এটা পৃথিবীতে বিরল ঘটনা। গান হৃদয়ে লালন করার মাধ্যমে দেশকে লালন করা যায়। একাত্তর সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় গানের মাধ্যমে যুব সমাজকে আন্দোলিত করে স্বাধীনতার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়েছিল। বাংলাদেশের সব ঐতিহাসিক আন্দোলনে ফকির আলমগীরের মতো শিল্পীরা গান দিয়ে মানুষকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন।’

রবিবার (২৩ জুলাই) সকালে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণসঙ্গীতশিল্পী ফকির আলমগীর এর নামে নামকরণকৃত সড়কের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

শুরুতে ডিএনসিসি মেয়র খিলগাঁও তালতলা কবরস্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীরের কবরে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। পুস্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া শেষে খিলগাঁও বি ব্লক, ছয় নম্বর রোড (মুক্তি ক্লিনিক সংলগ্ন) শিল্পী ফকির আলমগীর সড়ক নামে উদ্বোধন করেন।

ফকির আলমগীরের নামে সড়ক, উদ্বোধন করলেন মেয়রমেয়র বলেন, ‘গণসংগীত শিল্পীরা যে গান গেয়েছেন সেগুলো মানুষকে উজ্জীবিত করে। ফকির আলমগীর, আজম খান, ফিরোজ সাঁই, পিলু মমতাজ, ফেরদৌস ওয়াহিদ, আব্দুল আলীম উনারা যে গানগুলো গেয়েছেন এগুলো শুনলে কেউ বাবা মাকে ভুলতে পারবে না, দেশকে ভুলতে পারবে না। আমি নিজে গান শুনি। এসব গান প্রাণের সঞ্চার করে। প্রখ্যাত এই গুণী শিল্পীদের গান হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। শিল্পীদের যথাযথ সম্মান দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে এই সড়কটি শিল্পী ফকির আলমগীরের নামে নামকরণের মাধ্যমে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গুণী শিল্পীকে সম্মানিত করা হলো। একটি অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণ করতে হলে শিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিদের যথাযথ সম্মান দিতে হবে। সমাজ থেকে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ ও হিংসা-বিদ্বেষ দূর করতে সংস্কৃতির বিকাশ খুবই জরুরি। একটি সুস্থ সুন্দর সমাজের জন্য সংস্কৃতিকে লালন করতে হবে। আমরা অন্য শিল্পীদের নামেও সড়কের নামকরণ করবো।’

ফকির আলমগীরের ছোট ভাই শিল্পী ফকির সিরাজের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্পী ফকির আলমগীরের সহধর্মিণী সুরাইয়া আলমগীর, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রফিকুল আলম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, পল্লীমা সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাফিজুর রহমান ময়না, ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শাখাওয়াত হোসেন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিতু আক্তার প্রমুখ।

Advertisement
Share.

Leave A Reply