ফ্রি ফায়ার, পাবজির মতো অনলাইন গেম নিষিদ্ধ করার পর এবার বাংলাদেশের আদালতে আইনি লড়াইয়ে নেমেছে ফ্রি ফায়ার গেমসের প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুরের গ্যারিনা অনলাইন প্রাইভেট লিমিটেড। গত ৩১ আগস্ট অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকর গেম বন্ধে রিটের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে তারা আবেদন করেন।
সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশে ফ্রি ফায়ার গেম খেলে, এমন অনেক খেলোয়াড় রয়েছে। হাইকোর্টের আদেশে ফ্রি ফায়ার গেমসের লিংক ব্লক করে দেওয়ার কারণে গ্যারিনা অনলাইন প্রাইভেট লিমিটেড ব্যবসায়িকভাবে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এজন্য এই রিট মামলায় গ্যারিনা অনলাইন প্রাইভেট লিমিটেড পক্ষভুক্ত হতে চায়। এরই মধ্যে এদের আবেদনের ওপর তিন দিন শুনানি হয়েছে।
রবিবার শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের দিন ধার্য করেন।
আদালতে গ্যারিনা অনলাইন প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী ও ব্যারিস্টার তানভীর কাদের। আর রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব।
ব্যারিস্টার জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকর গেম বন্ধের রিটে পক্ষভুক্ত হতে আমরা আবেদন করেছি। আদালত এই আবেদনের আদেশের জন্য আগামী ২৬ অক্টোবর দিন রেখেছেন।
আদালত যদি আমাদের পক্ষভুক্ত হওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেন এরপর ফ্রি ফায়ার গেম চালু করতে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য,গত ১৬ আগস্ট সব অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে অবিলম্বে পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকর গেম বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সেখানে এই সকল অনলাইন গেম তিন মাসের জন্য বন্ধ রাখার কথা বলা হয়। আর বিটিআরসিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
একইসঙ্গে অনলাইন প্লাটফর্মে টিকটক, লাইকি, বিগো লাইভসহ ক্ষতিকর অ্যাপ এবং পাবজি ও ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকর গেম বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, সেটি জানতে চেয়ে আদালত রুল জারি করেন। বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।