fbpx

বইমেলায় ১৫ দেশের শিল্পী ও লেখকের সংকলন ‘দ্য বাটারফ্লাই ইফেক্ট’

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মুক্তশিল্প সংকলন ‘দ্য বাটারফ্লাই ইফেক্ট’। গদ্য, কবিতা, চিত্রকলা ও চিত্রগল্পের সমন্বয়ে এ সংকলটির সম্পাদনা করেছেন আহমেদ তাহসিন শামস।

ব্ল্যাঙ্ক ভয়েজেস (বাংলাদেশ) এবং স্বদেশ শৈলীর যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত এ সংকলন গ্রন্থটির বৈশ্বিক বিতরণ সহযোগী যুক্তরাষ্ট্রের আমাজন বুকস এবং লুলু প্রেস। দেশে চলমান অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ এর ৩৩ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে এটি।

সম্পাদক আহমেদ তাহসিন শামস বলেন, ‘এই সংকলনের লক্ষ্য বহুমূখী স্বর সম্পর্কে জানা এবং বোঝার অনন্য প্লাটফর্ম হয়ে ওঠা। যেটি পক্ষপাত এড়িয়ে, অপ্রকাশিত হিরোদের কন্ঠকে ও স্বরহীন গল্পগুলোকে তুলে আনে এবং তাই বলে যা তাদের সামনে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে।’

বইটিতে ভার্সেস, ভয়েজ, ভিশন ও ভিজুয়াল এই চারটি অধ্যায়ে ১৫টি দেশের শিল্পী ও লেখকরা অংশগ্রহণ করেছেন।  ‘ভার্সেস’ শিরোনামের প্রথম অধ্যায়ে সন্নিবেশিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, আলবেনিয়া, পোলেন্ড, কানাডা, ত্রিনিদাদ, নেদারল্যান্ডস, কোস্টারিকা, তাইওয়ান, সার্বিয়া, আজারবাইজান, স্পেন, ভারত ও বাংলাদেশের সমসাময়িক কবিদের কবিতা।

‘ভয়েজ’ শিরোনামের দ্বিতীয় অধ্যায়ে রাখা হয়েছে উজবেকিস্থান, বাংলাদেশ ও আলবেনিয়ার গদ্য। ‘ভিশন’ শিরোনামের তৃতীয় অধ্যায়ে উপস্থাপন করা হয়েছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের পেইন্টিং, শিল্প প্রতিস্থাপন, মিশ্র মাধ্যম ও ভাস্কর্যের মত চিত্রকলা।

‘ভিজুয়াল’ শিরোনামের শেষ অধ্যায়ে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে বাংলাদেশি তারুণ্যের এক্সপেরিমেন্টাল আধ্যাত্বিক চিত্রশিল্প ও চিত্রগল্পকে।

‘স্বদেশ শৈলী’ প্রকাশনার ম্যানেজিং এডিটর লেখক, কবি ও অনুবাদক অনন্ত উজ্জ্বল বলেন- ‘আন্তর্জাতিক সাহিত্য ও শিল্পকলার সমসাময়িক সৃষ্টি ও চিন্তার সঙ্গে পাঠক পরিচিত হবেন এ গ্রন্থটির মধ্য দিয়ে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বইটির প্রকাশে যুক্ত হতে পেরে।’

সম্পাদক আহমেদ তাহসিন শামস নটরডেম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তিনি বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নটরডেম এর ভিজিটিং ফেকাল্টি হিসেবে কর্মরত আছেন।

তিনি জানান, ‘ভার্সেস’ অধ্যায়টিতে ঘটেছে বহু দেশের কবি ও লেখকদের সৃজন উপস্থিতি। আরগন শেলি, আহমেদ তানভীর শামস, এলিকজা মারিয়া কুবারস্কা, আমিনুর রহমান ও অমৃতা রহমানের মত খ্যাতিমান শিল্পীদের কাজ এই অধ্যায়ে সন্নিবেশিত হয়েছে। ক্লাউডিয়া পিচ্চিনো, কন্সটেনটিন সেভারিন, দেবব্রতী ভট্টাচার্য, ইডেন সরিয়ানো এবং ফারজানা আহমেদসহ প্রত্যেকে তাদের নিজস্ব স্বরের স্বাক্ষর রেখেছেন। জারমেইন দ্রগেনব্রুথ, হেনি রুওয়েলার, জুলিয়ানা মেহমেতি,  কাতেই এনি জেমিসন, লিডা গার্সিয়া পারেজ, লি কুই-শেইন, মারিয়া নাজথেফার পপভ এবং মোহাঃ রিফাত আহমেদ রিয়াদও এই অধ্যায়ের কবি ও লেখক।

মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আল কাদরী, সিমন এন্টোনি এবং ড. তারানা তুরান রাহেমলি এই অধ্যায়টিকে  সমৃদ্ধ করেছেন, যেভাবে সমৃদ্ধ করেছেন ইয়েসিন সাহা, নওয়াজ সেলিম ও ভার্জিনিয়া ফারনান্দেজ কোলাডো।

পরবর্তী অধ্যায় ‘ভয়েজ’ এ সাইয়েদ বদরুল আহসান, এলিকজা মারিয়া কুবারস্কা, এসরর আলায়ারব, ফিরোজা বেগম এবং একই সাথে জেরিন তাসনীম শৈলী মত খ্যাতিমান লেখকের অবদান এই বইয়ের শোভা বৃদ্ধি করেছে।

এই অধ্যায়ে প্রফেসর ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, অভিক গঙ্গোপাধ্যায়, এবং ড. আজফার হোসাইনের মত বিখ্যাত স্কলার, অ্যাকাডেমিক ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিত্বের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সম্পাদক আহমেদ তাহসিন শামস। মধুবন্তি রায়া, রিচার্ড ক্রুকস, সাজিয়া রহমান সন্ধ্যা, এইচ এম মুরসালিন বিকাশ, সীমন্ত বড়ুয়া এবং মায়েলসা জেসির মত সমসাময়িক শিল্পীদের শিল্পকর্ম ‘ভিশন’ শিরোনামের তৃতীয় অধ্যায়টিকে সমৃদ্ধ করেছে।

নতুন এবং চলমান পৃথিবীতে তাদের ধারণ করা দৃশ্য ও চিত্র কর্ম দৃষ্টির খোরাক যোগায়। সর্বশেষ ‘ভিজুয়াল’ অধ্যায়ে উপস্থাপন করা হয়েছে দৃশ্যশিল্প ও চিত্রগল্প বলা। রাধি শফিক, নাজমুল হোসাইন, এলেক্স রোমারিও, মাহতাব নাফিস, তমাল সামাদ, মোরাদ আহমেদ খান এবং সুবেন্দ্র তিওয়ারির মত ফটোস্টোরিটেলার ক্যামেরার লেন্সে জীবন তুলে এনেছেন।

এই ভিজ্যুয়াল আর্টিস্টরা প্রাধান্য দিয়েছেন জাতীয় সংস্কৃতির উদ্দীপনাকে, আলোকিত-সমৃদ্ধ-বহুত্ব দান করেছেন তাদের লেন্সের শৈল্পিক প্রকাশের মাধ্যমে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply